নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালী সদর উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়নে মাদক বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় মো. আবদুল সাহেদ (২৯) ও মো. আবদুল শামীম (২১) নামের দুই যুবককে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন : পিরিয়ড ট্যাবু দূর করতে সচেতন হতে হবে
রোববার (২৮ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার পূর্ব নুরপুর গ্রামের বদর শাহ জামে মসজিদের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
ঘটনায় আহত যুবক মো. আবদুল সাহেদ ও মো. আবদুল শামীম পূর্ব নুরপুর গ্রামের মৃত আবদুল গফুরের ছেলে। এ ঘটনায় সুধারাম থানায় দুইজনকে আসামি করে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী আবদুল সাহেদ।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার পূর্ব নুরপুর গ্রামের মনির হোসেন টিপুর ছেলে মো. মেহেরাফ হোসেন ইমন (২২) স্থানীয়ভাবে কিশোরগ্যাং গড়ে তোলে দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় মাদক ব্যবসা ও অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন : প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ
ইতিপূর্বে তাকে ফেনসিডিলসহ আটক করে আইশৃঙ্খলা বাহিনী। তার এই মাদক ব্যবসায়ে বাধা দিলে সমাজের লোকজনকে একাধিকবার হামলা করে ইমন ও তার কিশোরগ্যাংয়ের সদস্যরা।
সম্প্রতি ইমন এলাকায় পুনরায় ফেনসিডিল ও ইয়াবা ব্যবসা শুরু করলে স্থানীয় মো. আবদুল সাহেদ ও মো. আবদুল শামীমসহ এলাকার বাসিন্দারা তাকে মাদক বিক্রিতে বাধা দেয়। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে রোববার রাতে ইমনের নেতৃত্ব মনি হোসেন টিপুসহ কিশোরগ্যাং সদস্যরা মাদক বিক্রিতে প্রতিবাদকারী সাহেদকে বদর শাহ জামে মসজিদের সামনে একা পেয়ে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে বেদম পিটিয়ে আহত করে।
এসময় সাহেদের ভাই শামীম খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলাকারীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে হামলাকারীরা শামীমকেও বেদম পিটিয়ে গুরত্বর আহত করে। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
আরও পড়ুন : স্বাস্থ্যবিধি দিবস উপলক্ষ্যে সভা অনুষ্ঠিত
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মেহেরাফ হোসেন ইমনের মুঠোফোনে কল করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তাই এ বিষয়ে তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অশ্বদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন বাবলু বলেন, বিষয়টি শোনার পর গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে খবর নিয়ে জানা গেছে মেহেরাফ হোসেন ইমন নামের ওই যুবক এলাকায় বিভিন্ন অসংহতিপূর্ণ কার্যকলাপে জড়িত।
আরও পড়ুন : জঙ্গল থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
এ সংক্রান্ত বিষয়ে বাধা দিলে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এবিষয়ে ভুক্তভোগীদের থানা পুলিশের সহযোগিতা নিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে সুধারাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.মিজানুর রহমান পাঠান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সান নিউজ/এইচএন