নিজস্ব প্রতিনিধি :
ঝালকাঠি: ইউপি সদস্যদের (মেম্বার) বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্র ও হত্যা পরিকল্পনার অভিযোগ এনে ঝালকাঠির নলছিটিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সুবিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ই্উপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান সিকদার। তার অভিযোগ, অবৈধ আবদার না রাখায় মেম্বাররা এসব অপকর্ম করছেন।
রোববার (১৬ আগস্ট) বিকেলে ইউপি ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তিনি।
এর আগে দুপুরে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও অশালীন আচরণের অভিযোগে ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলীর কাছে চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান সিকদারের বিরুদ্ধে অনাস্থা দেন ১০ জন ইউপি সদস্য।
অনাস্থা প্রস্তাবের পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, 'কিছু ইউপি সদস্য অবৈধ সুযোগ-সুবিধা না নিতে পেরে আমার বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। তারা বিভিন্ন প্রকল্প থেকে অন্যায়ভাবে আর্থিক সুবিধা ও দুর্নীতির আশ্রয় নিতে চাইলে আমি তাতে রাজি না হওয়ায় আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও ব্যক্তিগত সম্মানহানি করতে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এ ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে রয়েছেন নির্বাচনে পরাজিত হওয়া প্রার্থীরা। তাদের একজন ঢাকায় অবৈধ সিলসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়ে জেলও খেটেছেন। এখন তিনি এলাকায় এসে ইউনিয়নকে অশান্ত করতে নগ্ন খেলায় মেতে উঠেছেন।’
‘তিনি ও তার সহযোগীরা অনৈতিক সুবিধা দিয়ে কয়েকজন মেম্বারকে ব্যবহার করে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের নীলনকশা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছেন। এমনকি তারা আমাকে হত্যা পরিকল্পনার ছক এঁকেছেন। এ চক্রের হাতে আমার প্রাণনাশের আশঙ্কা রয়েছে।'
তিনি আরো বলেন, 'এ চক্রের আরেকজন ইতোমধ্যে দুর্নীতির দায়ে গ্রেপ্তার হয়ে জেল খেটেছেন। তাকে ইউপি সদস্য পদ থেকে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।'
চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান সিকদার অভিযোগ করে বলেন, ' জনবিছিন্ন ওই চক্রটি সম্পূর্ণ মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে কল্পকাহিনী সাজিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে ভিত্তিহীন অভিযোগটি করেছে। সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট, ইউনিয়নে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত ও তাদের অবৈধ আবদারকে মেনে নিতে বাধ্য করাই এ ষড়যন্ত্রের মূল কারণ। এর আগে ওই চক্রটি এলাকায় জুয়া, মাদক, চাঁদাবাজিসহ অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতে চাইলে আমি তাতে বাধা দেই। এ কারণে তারা আমার বিরুদ্ধে উঠে-পড়ে লেগেছেন।'
সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান মান্নান সিকদার ইউনিয়ন পরিষদ সংক্রান্ত সকল অভিযোগ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান।
তবে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও হত্যা পরিকল্পনার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্যানেল চেয়ারম্যান মো. মানছুর খান। তিনি বলেন, 'এলাকার সাধারণ জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। আমাদের মেম্বারি করে লাভ কি? তাই আমরা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা দিয়েছি।'
সান নিউজ/ এআর