এস আর শফিক স্বপন, মাদারীপুর : মাদারীপুর জেলার কালকিনিতে মোবাইল চুরির অপবাদে মো. বাহারুল (১৩) নামের এক শিশু শিক্ষার্থীকে চরম নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন : অষ্টগ্রামে ভূমি সেবা ২০২৩ উদযাপিত
খবর পেয়ে কালকিনি থানা পুলিশ ওই শিক্ষার্থীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এদিকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী পরিবার।
সোমবার (২২ মে) সকালে উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হাফিজুর রহমান মিলন সরদারের বাড়ির কাছে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন : জামালপুরে আ’লীগের বিক্ষোভ
নির্যাতনের শিকার ওই শিক্ষার্থী আলীনগর এলাকার ফাঁসিয়াতলা গ্রামের শাহাদাত বেপারীর ছেলে।
এলাকা ও ভূক্তভোগী পরিবার ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার কালিনগর ফাঁসিয়াতলা উচ্চ বিদ্যালয়ে গেলে নির্যাতনের শিকার হন শিক্ষার্থী বাহারুল।
এসময় একই বিদ্যালয়ের চলতি বছরের এসএসসি পরিক্ষার্থী শুভর পকেট থেকে একটি মোবাইল নেয়ার জন্য চেষ্টা করেন বাহারুল। একপর্যায়ে তাকে চোর সন্দেহে হাতুরী ও লাঠি দিয়ে নির্মমভাবে মারধর করে ফেলে রাখেন স্থানীয় লোকজন।
আরও পড়ুন : মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে প্রচারণা
খবর পেয়ে কালকিনি থানা পুলিশ ওই শিক্ষার্থীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এদিকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান মিলন সরদারের লোকজন এ নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী পরিবার।
ভূক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, বাহারুলের হাত ও পা-সহ শরীরে বিভিন্নস্থানে আঘাতের অনেক চিহ্ন রয়েছে।
আরও পড়ুন : সভাপতি শামীম, সম্পাদক রনি
অভিযুক্ত শুভর কাছে ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই ছেলে একটা চোর। আজকে আমার প্যান্টের পকেটে থাকা মোবাইল চুরি করেছে। তাই তাকে এলাকাবাসী পিটিয়েছে।
আলীনগর এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাহেদ পারভেজ বলেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান মিলন সরদারের লোকজন পূর্বশত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে এ নির্যাতন চালিয়েছে। আমি এর বিচার দাবী করছি।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি মোঃ শামীম হোসেন বলেন, নির্যাতনের শিকার ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে থানা পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
সান নিউজ/এইচএন