এস এম রেজাউল করিম : ঢাকার কেরাণীগঞ্জ মডেল থানা এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে মোবাইল চক্রের দুই সদস্যকে ২০টি চোরাই মোবাইলসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন : বিশ্বনেতাদের আস্থা বুঝতে বিএনপি ব্যর্থ
আসামিরা হলো ভোলা জেলার তজিমউদ্দিন থানার ডায়াপার গ্রামের অনিল চন্দ্র দাসের পুত্র উজ্জল চন্দ্র দাস, আব্দুল্লাহ আল মামুন, নোমান (৪৩) ও কেরাণীগঞ্জ থানার চরওয়াসপুর এলাকার হাজী আলেক মিয়ার পুত্র মোঃ সাদিক হোসেন (২১)।
কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার এসআই অলক কুমার দে ও এসআই মোঃ রিয়াজ মাহমুদ গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আটিবাজার মসজিদ মার্কেটের সামনে চোরাই মোবাইল ক্রয়-বিক্রয় করার সময় তাদেরকে আটক করে।
আরও পড়ুন : চীনে গাড়ি উল্টে ১১ জনের মৃত্যু
এসময় তাদের কাছ থেকে একটি ব্যাগে তল্লাশি করে ২০টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। যার কোন বৈধ কাগজ পত্র দেখাতে পারেনি ঐ চক্রটি। শুক্রবার কেরাণীগঞ্জ মডেল থানায় ৪১৩ ধারায় একটি মামলা (নং-৬৯) দায়ের হয়েছে। আসামিদের ঐ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছেন। আদালত কোন আদেশ এখন পর্যন্ত দেয়নি।
কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মামুন অর-রশিদ, পিপিএম বলেন, শুক্রবার সকালে তাদের নিকট গোপন সংবাদ আসে একটি চক্র চোরাই মোবাইল বিক্রি করছে। এমন খবর পেয়ে পুলিশ সুপার মোঃ -আসাদুজ্জামান (পিপিএম- বার) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরাণীগঞ্জ সার্কেল) মোঃ শাহাবুদ্দীন কবীর (বিপিএম) এর নির্দেশে অভিযান চালিয়ে তাদের দুইজনকে একটি ব্যাগসহ আটক করা হয়। ব্যাগ তল্লাশি করে ২০টি মোবাইল পাওয়া যায়। যার কোন কাগজপত্র নাই। এরমধ্যে তিনটি মোবাইলের আইএমইআই নম্বর কাটা। আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা বিভিন্ন এলাকা হতে চোরদের মাধ্যমে চোরাই মোবাইল সংগ্রহ করে আইএমইআই নম্বর নষ্ট করে বিভিন্ন মানুষের কাছে বিক্রয় করে আসছে। তারা একটি সংঘবদ্ধ চোরাই মোবাইল চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা চোরাই মোবাইলগুলোকে অভিনব কায়দায় আইএমইআই নম্বর কেটে ফেলে। যার ফলে চোরাই মোবাইল এর প্রকৃত মালিক শনাক্ত করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।
সান নিউজ/এমআর