নিজস্ব প্রতিবেদক:
রংপুর: বন্যার ক্ষয়ক্ষতি পূষিয়ে নিতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। এবারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রংপুর জেলার দেড় হাজার কৃষক প্রণোদনা হিসাবে ১৪ ধরনের শাক ও সবজি বীজ পাবেন।
কৃষি বিভাগ জানায়, মিঠাপুকুর, পীরগাছা, পীরগঞ্জ, বদরগঞ্জ, তারাগঞ্জ, গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া ও সদর উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত এক হাজার ৮০০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক ১২ লাখ টাকা মূল্যের ১৪ ধরনের বীজ প্রণোদনা পাবেন। প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় স্বল্পমেয়াদি সবজি হিসেবে লালশাক, ডাঁটাশাক, কলমিশাক, মুলাশাক, পুঁইশাক, পালংশাক ও পাটশাকের বীজ এবং মধ্যমেয়াদি সবজি হিসেবে শসা, লাউ, মিষ্টিকুমড়া, করলা, মরিচ, বরবটি ও শিমের বীজ বিনামূল্যে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হবে। শিম বীজ স্বল্পকালীন ও অন্যান্য বীজ হাইব্রিড হবে।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কর্মসূচির আওতায় অগ্রাধিকার তালিকাভুক্ত একটি কৃষক পরিবার ৫০ গ্রাম লালশাক, ৫০ গ্রাম ডাঁটাশাক, ৫০ গ্রাম কলমিশাক, ১০০ গ্রাম মুলাশাক, ৫০ গ্রাম পুঁইশাক, ১০০ গ্রাম পালংশাক, ৫০ গ্রাম পাটশাক, ৩ গ্রাম শসা (হাইব্রিড), ৫ গ্রাম হাইব্রিড লাউ, ৫ গ্রাম হাইব্রিড মিষ্টিকুমড়া, ১০ গ্রাম হাইব্রিড করলা, ২ গ্রাম হাইব্রিড মরিচ, ১০ গ্রাম হাইব্রিড বরবটি এবং ৫০ গ্রাম শিমের বীজ পাবেন।
সংশ্লিষ্ট ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রণোদনা কর্মসূচির জন্য মনোনীত প্রত্যেক কৃষকের স্ট্যাম্প সাইজের ছবিযুক্ত কৃষক উপকরণ কার্ডের ভর্তুকি অংশে যথাযথভাবে উপকরণের পরিমাণ লিপিবদ্ধ ও মাস্টাররোল সংরক্ষণ করে উপকরণ বিতরণ করেন।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. সরওয়ারুল আলম বলেন, ‘আমরা পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। জেলা প্রশাসক ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট উপজেলা ও ইউনিয়ন কর্মকর্তাদের সঙ্গে জুম মিটিং সম্পন্ন করে বীজ বিতরণ করা হবে।’
সান নিউজ/ এআর