সান নিউজ ডেস্ক: বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে পায়রা সমুদ্র বন্দরে মহাবিপদ সংকেত ঘোষণার পর বরিশালের অভ্যন্তরীণ রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর রূপে মোখা
শুক্রবার (১২ মে) রাত পৌনে ১১টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ভোর ৫টা থেকে অভ্যন্তরীণ সকল রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে ঢাকা-বরিশাল রুটের লঞ্চের বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর প্রধান কার্যালয় থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বরিশাল নদী বন্দর এখনো বিপদ সংকেতের আওতায় নেই।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কেটে গেলে লঞ্চগুলো চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে।
বরিশালের জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন জানিয়েছেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় ৫৪১টি আশ্রয়ন কেন্দ্র, ৮৯৯ মেট্রিক টন চাল, ৯ লাখ নগদ টাকা, ৫ হাজার কম্বল, ১৩ বান্ডিল টিন, দুই হাজার স্বেচ্ছাসেবক, ১১টি কন্ট্রোল রুম, ১১টি মেডিকেল টিম এবং সহযোগী ২০টি বেসরকারি সংস্থা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ৫৪১টি আশ্রয় কেন্দ্রে ২ লাখ ৭০ হাজার ৫ শ মানুষ এবং ৫০ হাজার গবাদিপশু আশ্রয় নিতে পারবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সামুদ্রিক কার্যকলাপের কেন্দ্র
তিনি জানান, মানুষকে সতর্ক করতে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এছাড়া মৎসজীবীসহ নদী-তীরবর্তী মানুষদের আগে ভাগে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার জন্য আহবান জানানো হয়েছে।
এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ উপকূলের সাড়ে আটশ কিলোমিটারের মধ্যে হাজির হওয়ায় জারি করা হয়েছে মহাবিপদ সংকেত।
সান নিউজ/এনকে