কামরুজ্জামান স্বাধীন , উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে বিলম্ব হওয়ায় কুড়িগ্রামের উলিপুরে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে সরকারি ভর্তূকী মূল্যে বিতরণ করা কম্বাইন্ড হারভেস্টার (ইয়ানমার) মেশিন মূল অফিস থেকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সুইচ টিপে বন্ধ করে দিয়েছে এসিআই কোম্পানী।
আরও পড়ুন : স্বাস্থ্য খাতে অর্থায়ন করতে আহ্বান
ধান কাটা-মাড়াই মৌসুমে মেশিনটি বন্ধ করে দেয়ায় বিপাকে পড়েছে কৃষক ও মেশিন মালিক। এ বিষয়ে কৃষক আপেল মাহমুদ মঙ্গলবার (৯ মে) উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
জানা গেছে, সরকার ধানকাটা মাড়াইয়ে দেশের শ্রমিক সংকট ও অভাব পূরণে কৃষি ব্যবস্থা আধুনিকরণে সারাদেশের ন্যায় জেলার উলিপুর উপজেলায় প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের জন্য ৩০ লক্ষ টাকা মূল্যের ৮টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন সরকার ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা ভর্তুকীতে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করে। শ্রমিক সংকট মোকাবেলায় ধান কেটে ঘরে তুলতে কৃষকদের সহায়তা করছে কম্বাইন্ড হারভেস্টার এই মেশিনগুলো। কিন্তু হারভেস্টার মেশিন মালিকদের অভিযোগ, মেশিনগুলো নেওয়ার পর পরই মাড়াই মৌসুমে বারবার যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নষ্ট হওয়া নিয়ে কোম্পানীর কাছে সঠিক কোন সার্ভিস পাচ্ছেন না। কোম্পানীর প্রতিনিধির কাছে মেশিন মেরামত করে চাইলে কিস্তির টাকা দ্রুত পরিশোধ করাসহ নানান অজুহাত ও তালবাহানা করছে কোম্পানীর লোকজন।
আরও পড়ুন : ডিভোর্স দিলেন ফিনিশ প্রধানমন্ত্রী
ধান কাটা মাড়াই মৌসুমে মেশিনের কিস্তি দিতে বিলম্ব হওয়ায় মঙ্গলবার (৯ মে) ডিজিটাল পদ্ধতিতে কোম্পানী অফিস থেকে সুইচ টিপে পৌরসভার হায়াৎখা গ্রামের কৃষক আপেল মাহমুদের কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন ও বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের হাগম বিলে ধান কাটা অবস্থায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে ধান কাটা মাড়াই নিয়ে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় কৃষক ও মেশিন মালিক। কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনের যান্ত্রিক ত্রুতিসহ কিস্তি না পেয়ে মেশিনটি বন্ধ করে দেয়ায় চলতি মাড়াই মৌসুমে কৃষকের পাকা ধান কাটতে শ্রমিক সংকটে ক্ষেতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ধান।
কৃষকরা মেশিন মাালিকের কাছে ধন্যা দিয়ে ধান কাটতে না পেড়ে অনেকেই নিরুপায় হয়ে উচ্চ মূল্যে শ্রমিক নিয়ে ধান কেটে বাড়ি নিয়ে মাড়াই করছে।
আরও পড়ুন : সুদান থেকে ফিরেছেন ৫২ বাংলাদেশি
উপরোক্ত অভিযোগ অস্বীকার করে কোম্পানীর প্রতিনিধি আব্দুল জলিল বলেন, চুক্তি মেয়াদে কোম্পানীকে কিস্তির টাকা পরিশোধ না করায় মেশিন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোশারফ হোসেন জানান, কিস্তির বিষয়টি মেশিন মালিক ও কোম্পানীর। আমি কোম্পানির লোকের সাথে কথা বলেছি। কৃষকদের সোনার ফসল ঘরে তুলতে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিবেন এটাই প্রত্যাশা কৃষক ও হারভেস্টার মেশিন মালিকদের কাছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোভন রাংসার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
সান নিউজ/এমআর