ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইানচার্জ (ওসি) কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান পুলককে থানায় ধরে নিয়ে গিয়ে হাতে হাতকড়া পরিয়ে ও চোখে কাপড় বেধে নির্মমভাবে নির্যাতনে হাত ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগে জেলা জজ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ওই নেতা।
আরও পড়ুন : আমরা সবদিক থেকেই প্রস্তুত
বুধবার (১০ মে) ওসি সহ পাঁচ জনের নামে মামলা দায়ের করলে জেলা ও দায়রা জজ মামুনুর রশিদ শুনানি শেষে মামলাটি আমলে নিয়ে নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশ দেন। এছাড়াও ২৪ ঘন্টার মধ্যে পুলকের চিকিৎসার প্রতিবেদন দাখিল এবং জেলা পুলিশ সুপারকে বিভাগীয় মামলা রুজু করার আদেশ দেন।
মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেওয়ায় সন্তুষ্ট আইজীবী ও বাদী আসাদুজ্জামান পুলক।
আরও পড়ুন : ৮ দিনের রিমান্ডে ইমরান খান
উলেখ্য, গত ২৯ এপ্রিল রাতে শহরের পাবলিক ক্লাব মাঠে অনুষ্ঠিত বৈশাখী মেলায় দোকানদারদের সঙ্গে বচসার জের ধরে পুলিশ রকি ও আসাদুজ্জামান পুলককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে তাদের থানায় নিয়ে হাতে হাতকড়া পড়িয়ে গামছা দিয়ে ২ চোখ বেঁধে আসাদুজ্জামান পুলককে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালায়। এ সময় ওসি'সহ ৫ নির্যাতনকারী কর্মকর্তা পুলকের বুকে বুট দিয়ে আঘাত করে। পুলিশের নির্যাতনে তার বাম হাতটি ভেঙ্গে যায়। এতে পুলকের শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাকে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং নামকাওয়াস্তে চিকিৎসা দিয়ে পরদিন সকালে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে। ২ মে পুলক জামিন পেয়ে চিকিৎসার জন্য জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে বার। খানিকটা সুস্থ হয়ে উঠলে বুধবার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলককে রিলিজ নেন।
আদালত চত্তরে পুলক জানান, আদালতের প্রতি বিশ্বাস ছিল সে কারণে মামলা দায়ের করেছি। আদালতের রায়ে খুশি, আশা করি ন্যায় বিচার পাব।
আরও পড়ুন : আলোচনার প্রশ্নই আসে না
পুলকের আইনজীবী অ্যাড. আব্দুর রহিম জানান, আসাদুজ্জামান পুলক জেলা জজ আদালতে মামলা দায়ের করলে জেলা ও দায়রা জজ মামলটি শুনানি শেষে মামলাটি আমলে নিয়ে নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশসহ ২৪ ঘন্টার মধ্যে পুলকের চিকিৎসার প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন। সেই সাথে জেলা পুলিশ সুপারকে বিভাগীয় মামলা রুজু করার আদেশ দেন।
সান নিউজ/এমআর