নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী দিকনির্দেশনায় আজ একটি সুসংগঠিত, চৌকস, সুশৃঙ্খল ও পেশাদার বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন : তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিদেশি চাপ নেই
রোববার (৭ মে) সকালে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টারে বিজিবির ৯৯তম রিক্রুট ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজে এ কথা বলেন তিনি। এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নবীন সৈনিকদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিজিবি এখন জল, স্থল ও আকাশ পথে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম। স্মার্ট বর্ডার ম্যানেজমেন্টের অংশ হিসেবে অত্যাধুনিক সার্ভেইলেন্স ইকুইপমেন্ট স্থাপন, যুগোপযোগী ও কার্যকর অ্যান্টি ট্যাংক গাইডেড ওয়েপন্স, এটিভি, এপিসি, রায়ট কন্ট্রোল ভেহিক্যাল এবং এয়ার বোটসহ দ্রুতগামী জলযান সংযোজন করা হয়েছে বিজিবিতে।
আরও পড়ুন : এনটিআরসিএর সামনে বিক্ষোভ-স্লোগান
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বিজিবি ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ হিসেবে বাংলাদেশের ৪ হাজার ৪২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত সুরক্ষা করে চলেছে। তারা সীমান্ত ভূমি ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধানের পাশাপাশি সীমান্তে চোরাচালান ও মাদক পাচাররোধ, নারী ও শিশু পাচারসহ যে কোনো আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনে সবার আস্থা অর্জন করেছে।
নবীন সৈনিকদের উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শৃঙ্খলা হচ্ছে সৈনিকের মূল পরিচিতি। আদেশ ও কর্তব্য পালনে যে কখনো পিছ পা হয় না সে-ই প্রকৃত সৈনিক। সততা, বুদ্ধিমত্তা, নির্ভরযোগ্যতা, আনুগত্য, তেজ ও উদ্দীপনা একটি বাহিনীর শৃঙ্খলা ও পেশাগত দক্ষতার মাপকাঠি। নবীন সৈনিকরা এসব গুণাবলীর প্রতিফলন ঘটিয়ে বাহিনীর ঐতিহ্য সমুন্নত রাখবে বলে আমি আশাবাদী।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশিদের জেদ্দায় নেওয়া হচ্ছে
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজিবি’র চারটি মূলনীতি-‘মনোবল, ভ্রাতৃত্ববোধ, শৃঙ্খলা ও দক্ষতা’-এ উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত হয়ে বিজিবি’র ওপর অর্পিত যে কোনো দায়িত্ব সুশৃঙ্খলভাবে পালন করে দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষার সুমহান দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান। এছাড়া বিজিবি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন : মাথা ঠান্ডা রেখে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ
প্রসঙ্গত, ৯৯তম রিক্রুট ব্যাচের মৌলিক প্রশিক্ষণ ২০২২ সালের ২০ নভেম্বর বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজে শুরু হয়। প্রশিক্ষণ ভেন্যুতে সর্বমোট ৫৩৯ জন রিক্রুটের মধ্যে ৫০২ জন পুরুষ এবং ৩৭ জন নারী রিক্রুট মৌলিক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন। দীর্ঘ ২৪ সপ্তাহের কঠোর ও কষ্টসাধ্য এ প্রশিক্ষণ সফলভাবে শেষ করে আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ ও সমাপনী কুচকাওয়াজের মাধ্যমে তাদের সৈনিক জীবনের শুভ সূচনা হলো।
সান নিউজ/জেএইচ