এহছানুল হক, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ): ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে চাঁদা দাবি করে না পেয়ে উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক (ইউপি) চেয়ারম্যান একেএম মুদাব্বিরুল ইসলামের দোকান ও বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: আপনি একজন সফল অর্থনৈতিক নেতা
এ ঘটনায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের করা মামলায় গতকাল শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে মো. বাবুল মিয়া (৫০) নামে ১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে আজ (০৬ এপ্রিল) শনিবার আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পিএসএস মোস্তাছিনুর রহমান।
এর আগে গত ২৬ এপ্রিল সাবেক ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে চাঁদা দাবি করে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। পরে এ ঘটনায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান একেএম মুদাব্বিরুল ইসলাম বাদী হয়ে গত (০৪ মে) ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫-২০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ বন্যায় ১৭৬ জনের মৃত্যু
মামলার আসামিরা হলেন- উচাখিলা ইউনিয়নের মরিচারচর (টান মালমারী) এলাকার মো. আবু কায়সারের ৩ ছেলে মো. আরমান (৩০) , মো.ইমন মিয়া (২৬) ও মো. আরাফাত হোসেন। একই এলাকার বাবুল মিয়ার ২ ছেলে মো. সৈকত (২৫) ও সৌরভ (২১)। মো. আব্দুল জব্বারের ২ ছেলে মো. হাদিউল বাশার সুমন (৪৩) ও মো. বাবুল মিয়া (৫০)। পরে অভিযান চালিয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে মো. বাবুল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, উল্লেখিত অভিযুক্তরা আগে থেকেই স্থানীয়ভাবে ব্যাপক অরাজকতা এবং আধিপত্য বিস্তার করে আসছে। শুধু তা-ই নয়, একেকজনের নামে একাধিক চাঁদাবাজি, লুটপাট, অস্ত্র বিস্ফোরণসহ মাদক মামলাও রয়েছে। এ ছাড়াও ইয়াবাসহ বিভিন্ন রকম মাদক সরবরাহকরে এলাকার যুব সমাজকে ধ্বংস করার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তাছাড়াও এদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে রাজিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান একেএম মুদাব্বিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনারদিন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উল্লেখিত আসামিরা আমার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি জানায়। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তারা আমার বাড়িতে এবং আমার ভাড়াটিয়ার দোকানে হামলা চালায়। এসময় দোকানে থাকা নগদ দুই লাখ টাকাসহ, দোকানের মালামাল ও আরেক ভাড়াটিয়া নারীর গলা থেকে স্বর্ণাল্কংকার লুট করে নিয়ে যায়। শুধু তা-ই নয়, আমার একটি মোটরসাইকসহ দোকানে ব্যাপক ভাঙচুর করে আসামিরা'। অবিলম্বে আসামিদের গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি জানান ওই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন: চক্রান্তের রূপরেখা তৈরি করছে বিএনপি
এদিকে মামলা হওয়ার পর থেকেই আসামিরা বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে। যেকারণে তাদের কারোর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পিএসএম মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের করা মামলায় এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
সান নিউজ/এনকে/এইচএন