মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ : মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়িতে বিবাদমান জমির গাছ থেকে আম পাড়তে নিষেধ করায় প্রতিবেশীর হামলার শিকার হয়েছেন হিন্দু পরিবার। জানা গেছে, উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামের কালীরবাড়ি এলাকার স্বগীয় নরহরি গাঙ্গুলীর ছেলে নারায়ণ কান্ত গাঙ্গুলীদের সাথে প্রতিবেশী প্রয়াত করিম মাঝি ছেলে মোবারক মাঝিদের সাথে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে।
আরও পড়ুন : দেশের কল্যাণে কাজ করার আহ্বান
বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) দুপুরে বিরোধপূর্ণ জমির আম গাছ থেকে মোবারক মাঝি বুলেট, রমজান মাঝি, রজ্জব মাঝিরা লোকজন নিয়ে আম পাড়তে গেলে জমির অপর মালিক নরহরি গাঙ্গুলীর ছেলে লক্ষিকান্ত গাঙ্গুলী বাঁধা দেয়। এতে ক্ষীপ্ত হন মোবারক মাঝিরা। এতে মাঝিদের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী শাহজাহান লক্ষিকান্ত ও তার স্ত্রী অর্চনা রানী গাঙ্গুলীর উপর হামলা করে মারধর করে এবং অর্চনা রানীকে অশ্লীলভাবে গালি গালাজ করে রেপ করার হুমকি দেয় বলে জানান অর্চনা রানী গাঙ্গুলী।
এ ব্যাপারে লক্ষীকান্ত গাঙ্গুলীর ভাই নারায়ণ কান্ত গাঙ্গুলী বলেন, আমাদের বাড়িতে ১৯৮০ সালে করিম মাঝিকে আমার বাবা থাকতে দিয়েছিল। তারপর আমার বাবাকে তারা একদিন তুলে নিয়ে ৩ দিন আটকে রেখে বাবার থেকে জোর করে অল্প কিছু সম্পত্তি লিখে নেয়। কিন্তু তারা এখন আমার বাপ ও তিন চাচার অংশের ৪ একরের বেশি সম্পত্তি জোর করে দখল করে রাখছে। আমাদের এই সম্পত্তি দখল করার সময় আমি বাঁধা দিলে তারা আমাকে মেরে আমার মেরুদণ্ড ভেঙে আমাকে পঙ্গু করে ফেলে। এখন আমরা জমি নিয়ে মামলা করেছি। মামলা করার পরে টঙ্গীবাড়ি থানা দু'দিন আগে তাদের ডেকে বলে দিয়েছে যেহেতু সম্পত্তি নিয়ে মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন : পাকিস্তানে বন্দুক হামলায় ৮ শিক্ষক নিহত
মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এ সম্পত্তির যা কিছু বিক্রি করে আমাদের যাতে অর্ধেক ভাগ দেওয়া হয়। তারা আমাদের জমির আম ২৫ হাজার টাকা বিক্রি করছে আমাদের মাত্র ২ হাজার টাকা সাধে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ওরা আমার ভাইকে মেরেছে। বৌদিকে মেরে তার কাপড়-চোপড় ছিঁড়ে ফেলেছে এবং তাকে রেপ করার হুমকি দিয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের মধ্যে রজ্জব মাঝি জানান, থানা থেকে আমাদের বলছে আপনারা আম বিক্রি করছেন উভয় পক্ষ ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েন। তাই আমরা আম পারতে গিয়েছিলাম।
আরও পড়ুন : ১৩ মাসে বজ্রপাতে ৩৪০ প্রাণহানি
টঙ্গীবাড়ি থানার এস,আই আল-মামুন জানান, বিরোধপূর্ণ জমিটি নিয়ে দু-পক্ষের সাথে কথা হয়। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আম পেরে দুই পক্ষ'কে সমান ভাগে ভাগ করে নিতে বলা হয়েছিল।
সান নিউজ/এমআর