নিজস্ব প্রতিবেদক:
যশোর: যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে মারপিটে তিন কিশোর নিহতের মামলায় কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়কসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, তত্ত্বাবধায়ক (সহকারী পরিচালক) আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সহকারী তত্ত্বাবধায়ক মাসুম বিল্লাহ, সাইকো সোশ্যাল কাউন্সিলর মুশফিকুর রহমান, ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর শাহানূর এবং ওমর ফারুক।
শুক্রবার (১৪ আগস্ট) রাত সাড়ে ১২টার দিকে যশোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, কেন্দ্রের ১০ জনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাদের মধ্যে পাঁচজনের জড়িত থাকার প্রমাণ মেলে। এজন্য ওই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন নিহত কিশোর পারভেজ হাসান রাব্বির বাবা খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা পশ্চিম সেনপাড়ার রোকা মিয়া। মামলায় শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র কর্তৃপক্ষকে আসামি করা হয়।
এদিকে এ ঘটনায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল্লাহ আল মাসুদকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে।
গত ৩ আগস্ট যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে কিশোরদের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ওই ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আনসার সদস্য ও তাদের নির্দেশে কয়েকজন কিশোর অন্তত ১৮ জনকে বেধড়ক মারপিট করেন। মারপিট ও নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের ফেলে রাখা হয়। কয়েকজন অচেতন থাকায় তারা অজ্ঞান হয়ে গেছে মনে করলেও পরে তারা বুঝতে পারেন, এরা মারা গেছে। এরপর সন্ধ্যার পর এক এক করে নিহত তিন কিশোরের মরদেহ হাসপাতালে এনে রাখা হয়।
নিহতরা হলো, বগুড়ার শিবগঞ্জের তালিবপুর পূর্বপাড়ার নান্নু পরমানিকের ছেলে নাঈম হোসেন (১৭), একই জেলার শেরপুর উপজেলার মহিপুর গ্রামের আলহাজ নুরুল ইসলাম নুরুর ছেলে রাসেল ওরফে সুজন (১৮) এবং খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা পশ্চিম সেনপাড়ার রোকা মিয়ার ছেলে পারভেজ হাসান রাব্বি (১৮)।
সান নিউজ/ এআর