এম.এ আজিজ রাসেল (প্রতিনিধি) : সম্প্রতি ইয়াবার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ক্রিস্টাল মেথ (আইস) পাচার। এবার কক্সবাজারে দেশের সর্ববৃহৎ ২১ কেজি ৯০ গ্রাম আইসের চালান জব্দ করা করেছে ৩৪ বিজিবি। জব্দকৃত আইসের আনুমানিক মূল্য ১০৫ কোটি টাকা। বুধবার (২৬ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৪টায় এই অভিযান।
আরও পড়ুন : পটুয়াখালীতে বিস্ফোরণে নিহত ১
অভিযান নিয়ে বেলা ১২টায় প্রেস ব্রিফিং করে কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি। ব্রিফিংয়ে রামুর সেক্টর কমান্ডার লেঃ কর্নেল মেহেদী হোসাইন কবির জানান, মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ ক্রিস্টাল মেথ (আইস) আনছে একটি মাদক পাচারকারী চক্র।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রামু সেক্টর কমান্ডার ও কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়কের নেতৃত্বে পালংখালী বিওপি'র একটি চৌকষ আভিযানিক টহলদল সীমান্ত পিলার ২০ হতে আনুমানিক ৮০০ গজ পূর্ব দিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার ৫নং পালংখালী ইউপির দক্ষিণ রহমতের বিল নামক স্থানে কৌশলগত অবস্থান নিয়ে ফাঁদ পেতে থাকে।
পরবর্তীতে ভোর সাড়ে ৪টায় ৬-৭ জন মাদক পাচারকারীরা মায়ানমার সীমান্ত হতে পায়ে হেটে বাংলাদেশে আসার সময় বিজিবি টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে চোরাকারবারীরা বিজিবি টহল দলের উপস্থিতি আঁচ করতে পেরে তাদের সাথে থাকা ২টি বস্তা মাটিতে ফেলে দ্রুত পালিয়ে যায়। এসময় বিজিবি টহলদল ৩ জন চোরাকারবারীকে আটক করে। আটকৃতরা হলো-উখিয়া বালুখালীর মৃত ছিদ্দিক আহমদের পুত্র রুজুরুছ মিয়া (৫১), আবদু শুক্কুরের পুত্র মোঃ ইসমাইল (২৩) ও পালংখালীর মো: আবুল মন্ডলের পুত্র ছৈয়দুল বাশার (৪০)। পরে চোরাকারবারীদের ফেলে দেয়া বস্তা তল্লাশী করে ২১ কেজি ৯০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ (আইস) উদ্ধার করতে সক্ষম হয় বিজিবি টহল দল।
আরও পড়ুন : দিনাজপুরে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ২
রামুর সেক্টর কমান্ডার লেঃ কর্নেল মেহেদী হোসাইন কবির আরও জানান, প্রাথমিকভাবে জানা যায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনে আইসের ওই চালান মজুদ করা হতো। পরে ছোট ছোট চালান আকারে দেশের বিভিন্ন জায়গায় তা পাচার করার লক্ষ ছিল তাঁদের। এই পাচারের নেপথ্যে কারা জড়িত তদন্ত সাপেক্ষে তাঁদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠকে অনুযায়ী জানা যায় মায়ানমারে অসংখ্য ইয়াবা ও আইসের কারখানা রয়েছে। কারখানাগুলো বন্ধে মায়ানমারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। মায়ানমারে জাতিগত যে অস্থিরতা চলছে, তার সুযোগে মাদক কারবারিরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে মাদক পাচারে মায়ানমারের রাষ্ট্রীয় মদদ আছে কিনা সে ব্যাপারে তথ্য নেই।
আরও পড়ুন : সাবেক সচিবের উপরে হামলায় সংবাদ সম্মেলন
আটক ৩ জনের মধ্যে রুজুরুছ মিয়া অল্পসময়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যায়। সম্প্রতি সে বালুখালীর অস্থায়ী বাজার ৩ কোটি ৪০ লক্ষ টাকায় হাতিয়ে নেয়। তাঁর হঠাৎ এমন উত্থান নিয়ে অনুসন্ধান করা হচ্ছে। তবে প্রেস ব্রিফিংয়ে সে সাংবাদিকদের জানায়, এই পাচারের সাথে সে জড়িত নেই। তাঁকে বাড়ি থেকে ধরে আনা হয়েছে।
সান নিউজ/এসআই