কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী (প্রতিনিধি) : ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের কাদিরদীতে অবস্থিত কাদিরদী দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেনকে (৪০) কুপিয়ে জখমের ঘটনায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন : শেখ হাসিনা-কিশিদা শীর্ষ বৈঠক সন্ধ্যায়
উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের কাদিরদী বাজারে মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল ৪টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার কয়েক হাজার লোক অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা দেলোয়ার হোসেনের উপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাদিরদী কলেজের অধ্যক্ষ মো নুরুজ্জামান মোল্যা, ভাইস প্রিন্সিপাল রঞ্জন কুমার ব্যানার্জি, সাতৈর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রাফিউল আলম মিন্টু, মধুখালি উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল আলম বাচ্চু, কাদিরদী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুজিত কুমার দাস, সাতৈর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আব্দুল হালিম শেখ, উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক
শাফিউল্লাহ শাফি, সাতৈর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি আফসার শেখ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ ফরিদপুর জেলার প্রচার সম্পাদক শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের কাদিরদী গ্রামের মৃত সাদেক শেখের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন শুক্রবার (২০ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে কাদিরদী বাজারে অবস্থান করছিলেন। তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে ঈদ উপলক্ষে কুশলাদি বিনিময় শেষে বাড়ির দিকে রওনা হন।
আরও পড়ুন : মনুষ্যবিহীন রুশ ট্যাংক ব্যবহার শুরু
এ সময় আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে দলবদ্ধ হয়ে দেলোয়ারের গতিরোধ করে তার ওপর দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে। মুহূর্তের মধ্যে দেলোয়ারকে কুপিয়ে-পিটিয়ে পালিয়ে যায় আসামিরা।
স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় দেলোয়ারকে উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসক। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন : ফের তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস
ওই ঘটনায় রবিবার (২৩ এপ্রিল) দিবাগত রাতে আহতের চাচাতো ভাই আব্দুল কুদ্দুস শেখ (৬৪) বাদী হয়ে বোয়ালমারী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে এবং অজ্ঞাত আরো ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর এ পর্যন্ত ৩ জন আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন ১৬ নম্বর আসামি রিয়েল বিশ্বাস (১৯), ১৭ নম্বর আসামি রিফাত বিশ্বাস (১৮) ও ১৮ নম্বর আসামি আজগর শেখ (২৫)।
সান নিউজ/এসআই