ভালুকা (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা : ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার অধিকাংশ পোশাকের দোকান ক্রেতাশূন্য। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে দোকানগুলোতে বাহারি পোশাক মার্কেটের দোকানগুলোতে। তবে এখনো বিক্রির আমেজ নেই তাদের মধ্যে। নেই ক্রেতার আনাগোনা। চাঁদ ওঠার উপর নির্ভর করে আগামী ২২ অথবা ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। সেই হিসাবে ঈদের আর মাত্র বাকি তিন থেকে চার দিন।
আরও পড়ুন : বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ৪
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যর মূল্যবৃদ্ধির কারণে স্বল্প আয়ের মানুষদের আয়ের সিংহভাগই চলে যায় মৌলিক চাহিদা মেটাতে। সংসার চালাতে এই শ্রেণির এক-তৃতীয়াংশের বেশি মানুষ এখন ধার দেনা করে চলছে। এমন পরিস্থিতিতে এবারের ঈদে নিন্ম আয়ের বেশির ভাগ মানুষের নতুন কাপড় কেনার সামর্থ্য নেই বললেই চলে।
ভালুকা পৌরসভার বিভিন্ন বিপনী বিতান ঘুরে দেখা যায় অনেকটাই ক্রেতা শূন্য অলস সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের কাঙ্খিত বেচাকেনা নেই। ব্যবসায়ীদের দাবি, এ বছর ঈদের কেনাকাটা ৫০ শতাংশ কমেছে।
আরও পড়ুন : ৩ বিভাগে ঝড়-বৃষ্টির আভাস
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পৌরশহরের দোকানগুলো তেমন সাজসজ্জা না করা হলেও, ছেলেদের জন্য নতুন ডিজাইনের পাঞ্জাবি এবং মেয়েদের জন্য থ্রিপিস-টপস জিন্সে প্যান্ট, শাড়ি, জুতা, কসমেটিকস, ছোট বাচ্চাদের বিভিন্ন পোশাকে সজ্জিত। তবে উচ্চমূল্যস্ফীতির কারণে বিশেষ করে মফস্বলে এবারের ঈদে বহুগুণে বিক্রি কমেছে। যদিও উচ্চবিত্তের কেনাকাটায় তেমন একটা বাটা পরেনি। তাই জেলা এবং বিভাগীয় শহরগুলোর বিপনির বিতানে রমজানের প্রথম থেকেই ছিল ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। উপজেলা, পৌরসভা এবং মফস্বলে নিন্ম আয়ের মানুষ বেশি বসবাস করাই অনেকটাই ক্রেতা শূন্য ছিল মার্কেটগুলো।
মা বস্ত্রালয়ের কর্ণধার বলেন, প্রথম রমজান থেকেই অনেকটা ক্রেতা শূন্য সময় কাটাচ্ছি এখন ক্রেতার চাপ কিছুটা বাড়লেও গত রমজানের অর্ধেগ ও বিক্রি করতে পারবো না।
পাশেই রায় মার্কেটের আরেক ব্যবসায়ী পূজা বস্ত্রালয়ের মালিক আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘এই সময়ে মার্কেটে সব থেকে বেশি ভিড় থাকার কথা। সারা বছর যা ব্যবসা হয় ঈদকে কেন্দ্র করে এর থেকে বেশি বিক্রি হয়। কিন্তু এবার গত রমজানের এক তৃতীয় অংশ বিক্রি করতে পারবো বলে মনে হচ্ছে না।
আরও পড়ুন : মাওয়াতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ৮
বাজার রোডের মশলা ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন, মসলার দাম বাড়ার জন্য না, অন্য কোন কারণে বিক্রি অর্ধেকের চেয়ে বেশি কমে গেছে।
এক ক্রেতা বলেন, ভেবেছিলাম এই সময়ে মার্কেটে প্রচন্ড ভিড় থাকবে। এসে দেখছি একদম লোকজন নেই বললেই চলে। বর্তমানের চিত্র যা রয়েছে, তা বছরের অন্যান্য স্বাভাবিক সময়ের মতো। কিন্তু ঈদের কেনাকাটা করতে এসে দেখছি জিনিসপত্রের দাম অনেক বেড়েছে। বাজেটের সঙ্গে মিল না থাকায়, উপহারের পোশাক কম কিনতে হয়েছে।
আরও পড়ুন : ভারত সফরে যাচ্ছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভালুকা পৌর শহরের বেশ কয়েকটি বাজারের পোশাক বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদ উপলক্ষ্যে বেচাকেনা বৃদ্ধি পায়নি। তারা মনে করছেন বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে দোকানগুলোতে ক্রেতার সংখ্যা ও বেচাকেনা বৃদ্ধি পাচ্ছে না।
সান নিউজ/এমআর