জেলা প্রতিনিধি : তীব্র তাপদাহে অতিষ্ট হয়ে বৃষ্টির আশায় বিশেষ নামাজ (সালাতুল ইসতিসকার) আদায় করেছেন খুলনার মুসল্লিরা।
আরও পড়ুন : শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
বুধবার (১৯ এপ্রিল) সকালে খুলনা নগরীর শহিদ হাদিস পার্কে এ নামাজ আদায় করা হয়।
নামাজ শেষে বৃষ্টির আশায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এতে অংশ নেন নগরীর বিভিন্ন এলাকার মুসল্লিরা।
আরও পড়ুন : ফরিদপুরে ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ২
এ নামাজে ইমামতি করেন গোয়ালখালী জামিয়া রশিদিয়া মাদরাসার মুহতামিম ও ইসলামী আন্দোলনের নগর সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল।
এছাড়া খুতবা ও দোয়া পরিচালনা করেন ফুলবাড়িগেট জামিয়া এমদাদিয়া দিবানৈশ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা গোলামুর রহমান।
আরও পড়ুন : ঢাকা ছাড়ছেন ঘরমুখো মানুষ
নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লি মোহাম্মদ আরিফ হোসেন ববি জানান, বৃষ্টি না হওয়ার কারণে শুধু মানুষেরই কষ্ট হচ্ছে না, প্রাণিকুল সকলেরই কষ্ট হচ্ছে। ফেসবুকে দেখেছি, আজ ইসতেসকার নামাজ হবে। তাই এখানে এসেছি। আল্লাহর কাছে নাজাত চাওয়া ছাড়া আমাদের মুক্তি নেই।
মুসল্লি খালিদ জানান, আমি জীবনে এ রকম গরম দেখিনি। এতো দীর্ঘ ও উচ্চ তাপমাত্রা আর কখনো দেখিনি। আসলে দুর্যোগ হলে মানুষের কিছু করার থাকে না। আল্লাহর কাছে হাত পাততে হয়, নিজেকে সমর্পণ করতে হয়। তার কাছে সাহায্য চাইতে হয়।
আরও পড়ুন : ৩ দিন গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
আল্লাহ ছাড়া এই কষ্ট থেকে কেউ নাজাত দিতে পারবে না। আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে আমরা এখানে এসেছি।
মো. আমজাদ হোসেন জানান, ইসতেসকার নামাজ আদায় করার জন্য আমরা হাদিস পার্কে এসেছি। এতো গরমে জীবন দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে। আমরা নামাজ পড়ে এর থেকে মুক্তির জন্য দোয়া করেছি। এটা সহ্য করার মতো গরম না।
আরও পড়ুন : ঈদের ছুটিতেও যেসব ব্যাংক খোলা
ইসলামী আন্দোলনের সহসভাপতি মো. নাসির উদ্দীন জানান, সারা দেশে গরম। খুলনায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। বেশ কিছু দিন ধরে খুলনায় বৃষ্টি নেই।
এ জন্য রাসুলের (সা.) সুন্নাত ইসতেসকার নামাজ হাদিস পার্কে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আল্লাহর কাছে বৃষ্টি চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : ঢাকায় মৃদু তাপপ্রবাহ
নামাজ শেষে হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল জানান, মদিনা শরিফের মসজিদুল ওমামায় রাসুলুল্লাহ (সা.) বৃষ্টির জন্য ইসতেসকার নামাজ আদায় করেছিলেন। অস্বাভাবিক গরম থেকে মুক্তির জন্য আমরা ইসতেসকার নামাজ আদায় করেছি। আলাহ যেন তার রহমতের বৃষ্টির ধারা নাজিল করেন।
মানুষসহ জীবজন্তু সকলের জীবন ওষ্ঠাগত, কষ্ট পাচ্ছে। রহমতের বৃষ্টি দিয়ে আল্লাহ তা আলা যেন পানাহ দেন, সেই জন্য আমরা সালাতুল ইসতেসকার নামাজের আয়োজন করেছি। রমজানের শেষ সময়ে মুক্তির দশকে আল্লাহ আমাদের দোয়া ফেরত দেবেন না।
সান নিউজ/এনজে