নিজস্ব প্রতিবেদক:
বরিশাল: কীর্তনখোলা নদীতে ট্রলার থেকে পড়ে নিখোঁজ ফয়েজ মাহমুদের সন্ধান মেলেনি গত তিনদিনেও। এ ঘটনায় আইনি কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন বরিশাল সদর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, কেউ থানায় অভিযোগ করেননি। তাছাড়া নদীতে পড়ে যাওয়ার পেছনে কেউ জড়িত রয়েছেন, এমনটা প্রতিয়মান নয়।
ট্রলার থেকে ছিটকে পড়া ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার ওসমানগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ফয়েজ মাহমুদ উত্তর চরফ্যাশনের মৃত সুলতান আহমেদের ছেলে।
বুধবার (১২ আগস্ট) সকাল পৌনে ১০টায় নগরীর চরকাউয়া খেয়াঘাটের জহিরের ট্রলারে ওঠেন ফয়েজ মাহমুদ। নদী পার হয়ে চরকাউয়া এলাকার পন্টুনে ভেড়ানোর আগে দ্রুতগতিতে নৌ-যানটি ঘুরাতে যান জহির। তখন ছিটকে পড়েন ফয়েজ। তার সঙ্গে থাকা প্রেসক্রিপশন থেকে পরিচয় নিশ্চিত করেন পুলিশ। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ-পুলিশ যৌথভাবে নদীতে ডুবুরি নামিয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। কিন্তু অভিযানে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজের পর শুক্রবার (১৪ আগস্ট) বেলা ১২টা পর্যন্ত ফয়েজকে পাওয়া যায়নি। তবে স্বজনেরা নিজস্ব উদ্যোগে কীর্তনখোলা নদীতে খুঁজছেন বলে জানিয়েছেন নৌ-থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন।
চরকাউয়া খেয়াঘাটে প্রতিদিন ৮৫টি ট্রলার নদী পারাপার করে। এখানে যাত্রী উত্তোলনে কোনো বিধি-নিষেধ না থাকায় ইচ্ছেমতো যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করে ট্রলারগুলো।
প্রত্যক্ষদর্শী আরেক ট্রলার মাঝি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, জহিরের ট্রলারটি ঘাটে লাগাতে ঘোরানোর সময়ে ভারসাম্য রাখতে না পেরে ছিটকে পড়েন যান ফয়েজ। ওই ট্রলার মাঝির দাবি, জহির অত জোরে ট্রলারটি না ঘুরালেও পারতেন। এতো জোরে এসে ঘুরিয়েছেন যে, আমরাও বলাবলি করছিলাম, জহিরের ট্রলার দুর্ঘটনা ঘটাবে। বলার এক মিনিটের মধ্যে দেখি, একজন ছিটকে পড়ে গেছেন।’
সান নিউজ/ এআর