নিজস্ব প্রতিনিধি:
মোংলা (বাগেরহাট): মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে মোংলা বন্দরে আনা আমদানি নিষিদ্ধ চার কন্টেইনার পোস্তদানা জব্দ করেছে কাস্টমস হাউস।
গোপন সংবাদ এবং কাস্টমসের গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুসারে বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ মোংলা বন্দরের ২ নম্বর কন্টেইনার ইয়ার্ডে থাকা চারটি কন্টেইনার আমদানিকারকের প্রতিনিধি, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি, শিপিং এজেন্টের প্রতিনিধি, বাগেরহাট চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিনিধি এবং মোংলা বন্দরের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ওই কন্টেইনারগুলো খোলা হয়। এ সময় দেখা যায়, সেগুলোর মধ্যে ঘোষণা বর্হিভূত পণ্য আনা হয়েছে। ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের ওই চারটি কন্টেইনারে ফুটবল, টেনিস বল ও স্নো-স্প্রে আনার ঘোষণা ছিল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের। আমদানিকারকের ঘোষণায় প্রতিটি কন্টেইনারে পণ্যের ওজন দেওয়া ছিল পাঁচ টন আর সেখানে প্রতিটি কন্টেইনারের ওজন ছিল ১৭ থেকে ২০ মেট্রিকটন।
ঘোষণার সঙ্গে ওজনের মিল না থাকায় সন্দেহ হয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষের। এরপর সংশ্লিষ্ট সবার উপস্থিতিতে কন্টেইনার চারটি খোলা হয়। খোলা মাত্র বের হয়ে আসে ঘোষণা বর্হিভূত নিষিদ্ধ আমদানী পণ্য পোস্তদানা। কন্টেইনারে আনা প্রতিটি বস্তায় ২৫ কেজি করে পোস্তদানা রয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষণ চলায় কত বস্তা পোস্তাাদান রয়েছে এবং এর দাম কত তা জানাতে পারেনি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
মোংলা কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার মো. সামসুল আরেফিন খান বলেন, কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে গোপন সংবাদ ছিল যে, কিছু দুষ্কৃতকারী রাতের আঁধারে কন্টেইনারের সিল ভেঙে অন্য মালামালের সঙ্গে এসব অবৈধ পণ্য পাচার করবেন। এজন্য জাহাজ থেকে কন্টেইনার নামার পর সেখানে কাস্টমসের নিরাপত্তা জোর করা হয়। অভিযানে বন্দর কর্তৃপক্ষও যথেষ্ট সহায়তা করেন। মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ঢাকার সোয়ারিঘাট এলাকার মেসার্স তাজ ট্রেডার্স ও চকবাজারের আয়েশা ট্রেডার্স এসব পণ্য আমদানি করেছে। কন্টেইনার খোলার সময় নিধার্রণ করে তাদের চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি ফোনে উপস্থিত থাকতে বলা হলেও তারা উপস্থিত হননি।
এ পণ্য নিয়ে এখন পরীক্ষা চলছে। এটি শেষ হলে কাস্টমস আইনে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে পণ্যগুলো বাজেয়াপ্তসহ জড়িতদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করা হতে পারে বলেও জানান তিনি।
সান নিউজ/ এআর