আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি : খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার গুমতি ইউনিয়নের বিভিন্ন পাড়ায় বইছে উপজাতিদের উৎসবের আমেজ। পুরাতন বছরকে বিদায় আর নতুন বছরকে বরনের মধ্যে দিয়ে পাহাড়ে শুরু হয়েছে ৩ দিনের এ উৎসব “ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি হোক সম্প্রীতির বন্ধন” এই প্রতিপাদ্য বিষয় কে সামনে রেখেই আনন্দে মেতে উঠেছে শিশু থেকে শুরু করে নানান বয়সী নারী পুরুষ।
আরও পড়ুন : আমরা মাতৃ ও শিশুমৃত্যু কমিয়েছি
ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর নববর্ষ উৎসব, চৈত্র মাসের শেষ দুইদিন এবং বৈশাখ মাসের প্রথম দিন এই তিনদিনব্যাপী এ উৎসব পালন করা হয়। প্রথম দিনকে বলা হয় হারি বৈসু, দ্বিতীয় দিনকে বৈসুমা এবং তৃতীয় বা শেষ দিনটিকে বলা হয় বিসি কতাল। মূলত আগামী দিনের সুখ ও শান্তির জন্য ভগবানের কাছে প্রার্থনা করা হয়।ত্রিপুরী নববর্ষ আনুষ্ঠানিক নাম বৈসু পালনকারী ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর ধরন,সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয়, তাৎপর্য ত্রিপুরী নববর্ষ উদযাপন তিন দিন শুরু ত্রিপুরী বর্ষপঞ্জির বৈশাখ মাসের প্রথম দিন তারিখ ২৯, ৩০ চৈত্র ও ১লা বৈশাখ সংঘটন বার্ষিক সম্পর্কি তদক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় সৌর নববর্ষ।
বুধবার (১২এপ্রিল) গুমতী ইউপি চেয়ারম্যান তফাজ্জল হোসেন এর উদ্যােগে ও এলাকাবাসীর আয়োজনে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয় র্যালিটি গোমতী বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ইউপি মাঠ প্রাঙ্গনে এসে শেষে গেরুয়া নৃত্য অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন : ইকুয়েডরে অস্ত্রধারীদের হামলায় নিহত ৯
এ সময় ডাক আর ঢোলের ধ্বনিতে পুরো এলাকা ছিল মুখরিত। এ উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী চলবে বৈসু উৎসব।পাড়ায় সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পরিবেশন ও গানের পাশাপাশি নৃত্য। অনুষ্ঠানের চমক লাগাতে বানানো হয়েছে দৃষ্টিনন্দন একটি মঞ্চ ।
উদযাপন কমিটির মিলন ত্রিপুরা জানান, গোমতী ইউপি চেয়ারম্যানের উদ্যােগে প্রায় বিশ বছরপর অত্র এলাকায় এ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ ও এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় আয়োজন এবার জমে উঠেছে। এরই মাঝে ত্রিপুরাদের ঐতিহ্যবাহী গেরুয়া নৃত্য অনুষ্ঠিত হবে। সকল সম্প্রদায়ের প্রতি তিনি বৈসুর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
সান নিউজ/এমআর