নিজস্ব প্রতিনিধি:
গোপালগঞ্জ: বন্যার পানি কমলেও মধুমতি নদীর পাড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানিকদহ, উরফি, ইছাখালি ও ধলইতলায়, গোবরাসহ বেশ কয়েকটি স্থানের তীরবর্তী বাসিন্দারা নতুন বিপদে পড়ে গেছেন।
গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ বৈদ্য জানান, নদীর পানি কমতে শুরু করায় তীরবর্তী গ্রামগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
তবে কাশিয়ানী, গোপালগঞ্জ সদর, মুকসুদপুর, কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামের ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট এখনো পানির নিচে রয়েছে। পানিবন্দি শত শত পরিবার বিভিন্ন স্কুল-কলেজসহ উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। গরু-ছাগল ও হাঁস-মুরগি নিয়ে চরম দুর্ভোগে জীবনযাপন করছেন এসব পরিবারের সদস্যরা। উপজেলাগুলোর অন্তত ৩০টি গ্রামে ঢুকে পড়া বন্যার পানিতে গত ১৭ দিন ধরে ভোগান্তিতে আছেন তারা।
কাশিয়ানী উপজেলার সিংগা গ্রামের মুদি ব্যবসায়ী পঙ্কজ মণ্ডল বলেন, ‘দুদিন হলো পানি একটু একটু করে কমতে শুরু করেছে। তবে আমার দোকানের মধ্যে এখনো হাঁটুপানি। রাস্তাঘাট তলানো। গ্রামের শত শত বাড়ি পানির নিচে। ছেলে-মেয়ে নিয়ে আমরা সমস্যার মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। অনেকে আবার গবাদিপশু-পাখি নিয়ে উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন।’
কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাইকেল ওঝা বলেন, কলাবাড়ি ইউনিয়নের বেশিরভাগ গ্রামই পানিতে তলানো। এসব এলাকার প্রায় দেড় হাজার পরিবার পানিবন্দি। হাজারও মাছের ঘের ভেসে গেছে। এতে ব্যপক ক্ষতি হয়েছে।
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা জানান, বন্যাদুর্গতদের প্রতিদিনই শুকনা খাবার, চালডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য এবং স্যালইন ও পানি বিশুদ্ধ করার ট্যাবলেট সরবরাহ করা হচ্ছে।
সান নিউজ/ এআর