ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বড়ইয়া ইউপি সদস্য বাউল শিল্পী ছালমা আলমগীরের নামে মানহানিকর ফেসবুক পোস্ট দেয়া এবং শেয়ার দিয়ে বিভিন্ন কমেন্টের কারণে ৮জনের নামে মামলা দেয়া হয়েছে। ছালমা আলমগীর বাদী হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে ডিজুটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন : ঝালকাঠি রুটে যাত্রী সংকটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ
এতে আসামী করা হয়েছে মিজানুর রহমান ওরফে এমডি নীরব, রাজ্জাক হোসাইন পিন্টু ওরফে রাজ্জাক পিন্টু, কামরুল ওরফে এমডি কামরুল, নাফিউল ইসলাম, বশির উদ্দিন খলিফা, নাজমুল হাসান সিমান্ত, নুরুল আলম মোল্লা, খন্দকার সিরাজুল ইসলামকে। তারা ছালমা আলমগীরের সম্পর্কে ফেসবুকে বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য পোস্ট এবং আপত্তিকর মন্তব্য করেছে।
ইউপি সদস্য ও বাউল শিল্পী ছালমা আলমগীর জানান, মোবাইল চুরির ঘটনায় চোর কর্তৃক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির একটি ভিডিও কুচক্রী মহল মনগড়া কিছু কথাবার্তা লিখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট করে যা আদৌ সত্য না।
এঘটনার দীর্ঘ ৯ মাস পর গত ২৫ মার্চ বিকেলে ধারণকৃত ভিডিও দিয়ে বিভিন্ন স্কিন সর্ট দিয়ে ছবি সৃষ্টি করে ও ভিডিও কর্তন করে মানহানীকর প্রয়োজনীয় টুকু রেখে ছালমাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ কথা লিখে নিরব হাওলাদারের নামে পরিচালিত ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দিয়েছে।এছাড়া আসামীরা নিজ নিজ আইডিতে পোস্ট করেন।
ঐ ভিডিও ২৫হাজার টাকার বিনিময়ে গত ২২ মার্চ রাতে কোন এক ক্রেতার কাছে বিক্রি করা হয়েছে। সেখান থেকে পোস্ট ও সরবরাহ করা হয়েছে। বিষয়টি অপপ্রচার হবার পরে অনেকেই ফেসবুক পোস্টের কমেন্টে ষড়যন্ত্রের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এধরনের সম্মানহানী ও বিভ্রান্তমূলক ফেসবুক পোস্টকারীদের বিচারের দাবিতে মামলা দায়ের করেছি। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
আরও পড়ুন : সৌরবিদ্যুকেন্দ্র স্থানান্তরের দাবিতে কৃষকদের বিক্ষোভ
ছালমা আলমগীরের স্বামী সাংবাদিক আলমগীর শরীফ জানান, আমি ঘটনার দিন সাথে ছিলাম, আসলে আমিও এই ১৭ বছর সংসার জীবনে জানি ছালমা কোন অনৈতিক কোন কর্ম ও মিথ্যা কথা বলেনা এবং আমার কাছে কোন কিছু গোপন করে না। আমি ঐ অসত্য লিখার প্রতি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এধরনের সম্মানহানী ও বিভ্রান্তমূলক ফেসবুক পোস্টকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবী করেন তিনি।
সান নিউজ/এসআই