আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি, (প্রতিনিধি) : ঐতিহ্যবাহী বৈসু, সাংগ্রাই, বিঝু ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ উদযাপন উপলক্ষে খাগড়াছড়িতে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন : ক্ষতিগ্রস্তদের কান্না সহ্য করা যায় না
বুধবার (৫ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এ প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভার সভাপতিত্ব করেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু।
বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার প্রধাণ ৩টি উপজাতি সমাজের বর্ষ বরণ উৎসব। এটি তাদের প্রধাণ সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোর একটি। এউৎসবটি ত্রিপুরাদের কাছেবৈসু, মারমাদের কাছে সাংগ্রাই এবং চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যাদের কাছে বিজু নামে পরিচিত। বৈসাবী নামকরনও করা হয়েছে এই তিনটি উৎসবের প্রথম অক্ষর গুলো নিয়ে। বৈ শব্দটি ত্রিপুরাদের বৈসু থেকে, সা শব্দটি মারমাদের সাংগ্রাই থেকে এবং বি শব্দটি চাকমাদের বিজু থেকে। এই তিন শব্দের সম্মিলিত রূপ হলো 'বৈসাবি
বৈসু=ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান উৎসব।চৈত্র মাসের শেষ দুইদিন এবং বৈশাখ মাসের প্রথম দিন এই তিনদিনব্যাপী এ উৎসব পালন করা হয়
সাংগ্রাই=বাংলাদেশী মারমা এবং রাখাইন জাতি
গোষ্ঠীর নববর্ষ উৎসবের নাম।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার
বিজু=চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যাগণ এ উৎসবটি ৩দিন ধরে পালন করেন। এ ৩ দিন হল চৈত্রের শেষ ২দিন ও বৈশাখের প্রথম দিন।
এবারের অনুষ্ঠান মালায় বর্নাঢ্য শোভা যাত্রা,ডিসপ্লেসহ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। জেলা পরিষদের হস্তান্তরিত বিভাগের সকলকে উপস্থিত থেকে শোভাযাত্রাকে সুন্দর ও সার্থক করে গড়ে তোলার জন্য এবং পাহাড়ের সকল সম্প্রদায়ের, কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন : মার্চে সড়কে ঝড়ল ৫৯২ প্রাণ
এ সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসা, জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিনিয়া চাকমা, সহকারী কমিশনার মো. আনোয়ার হোসাইন ও বেসরকারি কর্মকর্তা সহশিক্ষক'রা উপস্থিত ছিলেন
সান নিউজ/এসআই