এম এ রাজ্জাক, নওগাঁ: শস্য ভান্ডার খ্যাত নওগাঁ জেলায় বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে চাষ করা হচ্ছে বোরো ধান। সোনালী ফসলের আশায় বুক বেঁধেছেন চাষিরা, জমিতে সার-কীটনাশক প্রয়োগসহ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। এই দৃশ্য দেখলে মনে হবে যেন ফসলের মাঠে উঁকি দিচ্ছে কৃষকের রঙিন স্বপ্ন।
আরও পড়ুন: ক্ষতিগ্রস্তদের কান্না সহ্য করা যায় না
মাঠে গিয়ে দেখা যায়, নওগাঁর মাঠে মাঠে ইরি-বোরো ধানের ক্ষেতগুলো লালচে থেকে সবুজ হয়ে উঠেছে।
কৃষকের এখন ব্যস্ত সময়, কাউকে কাউকে দেখা গেছে পানি নিতে, নিড়ানিতে ও কীটনাশক প্রয়োগে ব্যস্ত। নওগাঁ অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল।
সবজিসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদন হলেও, ধানই এখানকার প্রধান ফসল। যুগ যুগ ধরে ধান উৎপাদন করে আসছেন এখানকার কৃষকরা। এ ফসল দিয়ে চলে তাদের সংসার।
গত বছরের বন্যায় প্রায় ৫ লক্ষাধিক মানুষের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসব ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চলতি মৌসুমে আলু আবাদ তুলার পরে ওই জমিতে কৃষকরা রোপণ করেছেন বোরো ধান।
আরও পড়ুন: আগুন জ্বললেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে
মান্দা এলাকার কৃষক হাবিবুর রহমান জানান, একদিকে ক্ষতি হয়েছে বন্যায়। অপরদিকে ঘন কুয়াশা নষ্ট করেছে ধানের চারা। তবুও বন্যার ক্ষতিপূরণের আশায় ধার-দেনা করে বোরো ধানের আবাদ করেছি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার অধিক ফসল ঘরে তোলা যেতে পারে।
নিয়ামতপুর উপজেলার আরেক কৃষক সজল মিয়া বলেন, ধান ক্ষেতে দুই দফায় সার-কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছে। ধানগাছের চেহারা দেখে বোঝা যাচ্ছে এবারে ভালো ফলন পাওয়া যেতে পারে। সরকার যদি ন্যায্য দাম দেয়, তাহলে লাভবান হওয়া সম্ভব।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (নওগাঁ) উপ-পরিচালক আবু কালাম আজাদ জানান, চলতি মৌসুমে নওগাঁয় ১১ টি উপজেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্য মাত্রা ছিল ১৮ লাখ ৯ হাজার ১০০ হেক্টর। আবাদ হয়েছে ১৯ লাখ ৯৫০ হেক্টর জমিতে।বোরে চাষের অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করছে। তাদের ভালো ফলন পেতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হচ্ছে।
সান নিউজ/এনকে