মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ : মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার শিলইয়ে বাড়িঘর ভাংচুর করে শাহাদাত হোসেন বেপারী, তার ছেলে ও বেয়াই সহ ২৪ জনকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে সাবেক মেম্বার ইসমাইল ও তার সমর্থকরা।
সোমবার (৩ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে এই নিউজ লিখা পর্যন্ত রাত ৯ টা পর্যন্ত তাদেরকে একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। এসময় তারা বাহির থেকে পানি ও কিছু খাবার খেয়ে ইফতার করেন।
এদিকে, শাহাদাত বেপারী স্ত্রী শাহনাজ বেগম পুলিশ কে তালা খুলে দিতে বললে এ সময় সদর থানার এস আই ফরিদুজ্জামান বলেন বড় স্যার আসলে তালা খুলে দেওয়া হবে। কিন্ত এ ঘটনার ৬ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও এখনোও পুলিশের কোনো উর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা না আসায় তাদেরকে তালাবদ্ধ থেকে মুক্ত করা হয়নি!
এ বিষয়ে সদর থানার এস আই ফরিদুজ্জামান বলেন, আমরা পাঁচটার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেই তাদেরকে তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখি দেখতে পাই। তিনি আরও বলেন, সিনিয়র স্যারদের জন্য অপেক্ষা করতেছি। ওনারা আসলেই তাদের উপস্থিতিতে তালা খুলে দেওয়া হবে।
শাহাদাত বেপারীর স্ত্রী শাহনাজ বেগম বলেন, পূর্ব থেকে আমাদের সাথে ঝগড়া ছিলো সাবেক ৩ নং ওয়ার্ড মেম্বার ইসমাইল হোসেন বেপারী ও গনি বেপারী গংদের সাথে। সেই ঝামেলা সমাধান করতে মুন্সীগঞ্জ সার্কেল এসপির সাথে কথা বলেই নিজ গ্রামে আসে পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের সাথে ইফতার করতে।
এ ইফতারে দীঘিরপাড় ফাঁড়ির এস আই রমজান ও মোফাজ্জল তাদেরকে বলা হয়েছিলো। বিকেল তিনটার পর সাবেক মেম্বার ইসমাইল বেপারী নেতৃত্বে তার তিন ছেলে জয় বেপারী, ঈসাক বেপারী, ইমরান বেপারী ও গনি বেপারীর দুই ছেলে সোহেল বেপারী, শামীম বেপারী ও শ্যামল সহ ১৫ থেকে ২০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল প্রথমে ককটেল বিস্ফোরণ করে পরে বাড়িঘর ভাংচুর করে।
পরে আমার ছেলে, স্বামী, বেয়াই ও ছেলের বন্ধুরা ভয়ে একটি ঘরে ভিতরে ঢুকিয়ে দেই। পরে প্রতিপক্ষের লোকজন দরজা না ভাঙতে পেরে বাহির থেকে তালা লাগিয়ে দেয়। এ সময় সময় আমাদের স্টিলের আলমারি ভেঙে ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
এই প্রসঙ্গে সাবেক মেম্বার ইসমাইল হোসেন বেপারী বলেন, তারা ইফতার নামে বাহির থেকে লোকজন নিয়ে আমাদের উপরে হামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এমন সময় এলাকার কয়েকজন তাদের বাড়িতে গিয়ে সকলকে তালা বদ্ধ করে রাখে।
এ বিষয়ে শিলই ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ মৃধা বলেন, আমি ঘটনাস্থল রয়েছি। পুলিশের ঊর্ধ্বতম কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তাদের তালা খুলে দেওয়া হবে।
সান নিউজ/এইচএন