ভোলা প্রতিনিধি : রোগীদের বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসকদের নির্ধারিত ডিউটি শেষে চেম্বার করার শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন : সহযোগিতা জোরদারে গুরুত্বারোপ
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) ভোলা সদর হাসপাতালের ডাক্তারগন এই সেবা কার্যক্রম শুরু করেন। এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক নির্ধারিত ফি দিয়ে দেশের সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম ঢাকা থেকে জুম কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন। ভোলা সদর হাসপাতাল ছাড়াও জেলার চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ সেবা মিলবে।
সপ্তাহে দুদিন করে দুপুর পর্যন্ত চালু থাকা স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি বিকেল ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত চিকিৎসরা রোগী দেখবেন। এ সময় পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলবে।এভাবে রোগীরা মানসম্মত সেবা পাবেন। সরকারের এই পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি হাসপাতালেই এখন চেম্বার করার সুযোগ পাবেন চিকিৎসকরা। এক্ষেত্রে রোগীরা প্রাইভেট চেম্বারের তুলনায় কম খরচে সেবা মিলবে।
আরও পড়ুন : টিটিপির হামলায় ৪ পুলিশ নিহত
এই সেবার আওতায় এখন অধ্যাপকের ফি হবে ৫০০ টাকা। এতে তিনি পাবেন ৪০০, চিকিৎসা সেবায় সহযোগিতাকারী ৫০, সার্ভিস চার্জ ৫০ টাকা ধরা হয়েছে। এভাবে সহযোগী অধ্যাপকের ফি ৪০০ হলেও তিনি পাবেন ৩০০ টাকা। সহকারী অধ্যাপকের ফি ৩০০ টাকা, তিনি পাবেন ২০০ এবং এমবিবিএস/বিডিএস ও সমমানের চিকিৎসকদের ফি হবে ২০০ টাকা, তারা পাবেন ১৫০ টাকা। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসা সেবায় সহযোগিতাকারীর জন্য ২৫ ও সার্ভিস চার্জ ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ভোলা সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা: মনিরুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসকরা হাসপাতালে তাদের নিজস্ব দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এখন থেকে সপ্তাহে দুদিন বিকালে নিজ কর্মস্থলে বসে রোগী দেখবেন। আজ থেকে পাইলট প্রকল্প হিসেবে আমরা প্রাতিষ্ঠানিক প্র্যাকটিস শুরু করতে যাচ্ছি। এতে করে বিকাল তিনটা থেকে সাধারণ মানুষ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছ থেকে সেবা নিতে পারবেন।হাসপাতালে বসে রোগী দেখবেন, রোগীদের সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করতে পারবেন। আর ভোলা যেহেতু দ্বীপ জেলা এখানে এই সেবা চালু হওয়াতে সাধারন মানুষ এই সার্ভিসের অনেক উপকার পাবেন।
সান নিউজ/এমআর