নিনা আফরিন (পটুয়াখালী) : দেশের সব চেয়ে গভীরতম সাড়ে দশ মিটার(১০.৫ মটার) গভীরতা নিয়ে যাত্রা শুরু করলো দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর পায়রা। মহান স্বাধীনতা দিবসে আনুষ্ঠানিক ভাবে পায়রা বন্দর কতৃপক্ষের কাছে চ্যানেলটি হস্তান্তর করে বেলজিয়াম ভিত্তিক ড্রেজিং কোম্পানি " Jan De Nul"। পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ড্রেজিং সফলভাবে সমাপ্ত হওয়ায় আজ ২৬ মার্চ থেকে সরাসরি মাদার ভেসেল বন্দরের জেটিতে ভীড়তে পারবে বলে দাবী বন্দর চেয়ারম্যানের।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশ আঞ্চলিক নেতা হয়ে উঠছে
রোববার (২৬ মার্চ) পায়রা বন্দরের কনফারেন্স রুমে বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল সোহায়েল আহম্মেদ সংবাদ সম্মেলনে জানান, প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে দেশের সবচেয়ে বড় ড্রেজিং প্রকল্প "পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল এন্ড মেইনটেনেন্স ড্রেজিং" সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
ড্রেজিংয়ের ফলে চ্যানেলটির গভীরতা ১০.৫ মিটারে উন্নীত হয়েছে, যা বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে গভীরতম। তিনি জানান, এই মহুর্ত থেকে প্যানামেক্স সাইজের বড় মাদার ভ্যাসেল সহজে প্রতিনিয়ত বন্দরে প্রবেশ করতে পারবে। এতে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বহুগুন বৃদ্ধি পাবে, যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। চলতি মাসে বিদেশি সাতটি জাহাজ আসবে। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জাহাজ ৫০ হাজার মেট্রিক টন পন্য নিয়ে সরাসরি পায়রা বন্দরের জেটিতে পন্য খালাসের জন্য নোঙর করবে।
তিনি আরো বলেন আগামী মে মাসের প্রথম দিকে পায়রা বন্দরের প্রথম জেটির উদ্বোধন করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। বন্দরের জন্য সাড়ে ছয় হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। আংশিক কার্যক্রম পরিচালনার সুফল হিসেবে গত বছর পায়রা বন্দর আটশো কোটি টাকা রাজস্ব আয় করতে সক্ষম হয়েছে। এ বছর প্রথম টার্মিনাল চালু হলে আয় শতগুন বৃদ্ধি পাবে বলে দাবী বন্দর চেয়ারম্যানের।
আরও পড়ুন : জার্মানিতে গোলাগুলি, নিহত ২
তিনি দাবী করেন শুধু ড্রেজিংই নয় সমান তালে ইনার ও আউটারবারে মার্কিং, বয়া বাতি বসানো হয়েছে। ইনারবারে ১৫টি জাহাজ রাখা যাবে । সেখানে লোডিং আনলোডিং কার্যক্রম চলবে। জলপথে দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে নিকটবর্তী বন্দর হলো পায়রা।
তিনি দৃঢ়কন্ঠে ঘোষনা করেন পায়রা বন্দর হবে আগামীর বাংলাদেশ। স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট বন্দর হবে পায়রা। পায়রা থেকে একই সাথে নদী,সড়ক,রেল পথে পণ্য পৌছাবে সারা দেশে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সদস্য মহিব্বুর রহমান জানান, দক্ষিনাঞ্চলের অবহেলিত মানুষকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ নেই দক্ষিনাঞ্চল বাসীর।
আরও পড়ুন : বিএনপি পাকিস্তানি ভাবধারায় উজ্জীবিত
শপায়রা বন্দর দেশের অগ্রগতিতে অনবদ্য ভূমিকা পালন করে সমৃদ্ধি বাংলাদেশ বির্নিমানে ভূমিকা রাখবে এমনটাই মনে করেন তিনি।
সান নিউজ/এসআই