শফিক স্বপন, মাদারীপুর : পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়ের মাদারীপুরের শিবচরে ইমাদ পরিবহন দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহতের পর মহাসড়কে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে হাইওয়ে পুলিশের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। গতিসীমা লঙ্ঘন করায় মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ১০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পরদিন সোমবার একই অপরাধে মামলা হয় ২১টি।
আরও পড়ুন: সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে
এছাড়াও বিভিন্ন অপরাধে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। গতিসীমা লঙ্ঘন করার অপরাধে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ২৮৪টি মামলা করে হাইওয়ে পুলিশ। জানুয়ারিতে এ সংখ্যা ছিল ৩১৫টি।
শিবচর হাইওয়ে থানার ওসি আবু নাইম মোঃ মোফাজ্জেল হক বলেন, ‘গতিসীমা লঙ্ঘন করায় মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ১০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পরদিন সোমবার একই অপরাধে মামলা হয় ২১টি। এছাড়াও বিভিন্ন অপরাধে মামলা দায়ের করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: পর্তুগালে ২ বাংলাদেশি নিহত
এদিকে জেলা প্রশাসক কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পল্লব কুমার হাজরা বলেন, তদন্তের জন্য নির্ধারিত ২য় দিনের কাজ এখনো চলমান আছে। আমরা কাজ করছি। তবে বেধে দেওয়া সময় সীমা অনুযায়ী আজ (মঙ্গলবার) রাত ১২টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। তবে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত যানবাহনের গতিসীমা লঙ্ঘন করার ঘটনা ঘটলে মামলার সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে পুলিশের ধারণা।
প্রসঙ্গত, রবিবার ভোররাতে খুলনা থেকে যাত্রী বোঝাই করে ইমাদ পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা-মেট্রো-ব-১৫-৩৩৪৮) ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। বাসটি গোপালগঞ্জের ঘোনাপাড়া থেকে ১৫ জন যাত্রী তুলে। পদ্মাসেতুর আগে ঢাকা-খুলনা এক্সপ্রেসওয়ের মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর সিমানা এলাকায় আসলে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যায়। বাসটি এক্সপ্রেস হাইওয়ের নীচের আন্ডারপাসের গাইড ওয়ালের সাথে ধাক্কা লেগে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ১৪ জন নিহত হয়। এ দুর্ঘটনায় অন্তত ১৫ জনকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পাঁচ্চর রয়েল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর আরো ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সান নিউজ/এমআর