গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠার ৪১বছর পর চালু হয়েছে অপারেশন থিয়েটার। রোববার (১৯ মার্চ) সেখানে প্রথমবারের মতো অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। ছেলে শিশুর মা হয়েছে মিম খাতুন (২২) নামের এক নারী।
আরও পড়ুন : বোরহানউদ্দিনে ঘর পাচ্ছে ১০৬ ভূমিহীন
মিম উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের সীচা (চৌরাস্তা) গ্রামের সুজন মিয়ার স্ত্রী। প্রথম সস্তান প্রসবের সময়েও তার অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে। নবজাতক ও তার মা উভয়েই এখন সুস্থ আছে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকগণ বলেন, গত ১৯ মার্চ দুপুর ১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহর নেতৃত্বে মিমের অস্ত্রোপচার করা হয়। এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রথম অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে।
আরও পড়ুন : নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
এ সময় ডা. মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহকে সহযোগিতা করেন গাইনি এ্যান্ড অবস ডা. সুরভী সুলতানা, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রেজওয়ান আহম্মেদ, ডা. তারিকুল ইসলাম তারেক, ডা. আরিফুল ইসলাম, ডা. মনিরা, ডা. সুবর্ণা, নার্স জুলেখা, সাবনা ইয়াসমিনসহ চিকিৎসক ও সেবিকারা।
জানা যায়, ১৯৮২ সালে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে হাসপাতালটি ৫০ শয্যাবিশিষ্ট ভবনে উন্নীত হয়। বিভিন্ন জটিলতায় দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সেখানে অপারেশন থিয়েটার (ওটি) চালু করা হয়নি।
আরও পড়ুন : ঝালকাঠিতে ৪২৩ টি পরিবার পাবে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর
অবশেষে সব প্রতিবন্ধকতার অবসান ঘটিয়ে চালু হলো অপারেশন থিয়েটার। আগে কোনো প্রসূতি মায়ের অবস্থার অবনতি হলে বা অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হলে বিভাগীয় শহর রংপুর ও গাইবান্ধা জেলা শহরে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। তবে এখন হাতের নাগালে সুবিধা পাবে এলাকাবাসী। নবজাতক শিশুর বাবা সুজন মিয়া বলেন, এ হাসপাতালে প্রথম সিজার হয়েছে। এ জন্য প্রথমে কিছুটা ভয়ে ছিলাম। কিন্তু সুষ্ঠুভাবে সিজার সম্পন্ন হওয়ার পর খুবই আনন্দিত হয়েছি। আমাদের মতো গরিব মানুষের জন্য এটা অনেক বড়প্রাপ্তি।
আরও পড়ুন : বাস-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৩
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবুল ফাত্তাহ বলেন, আল্লাহর রহমতে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ৪১ বছর পর প্রথম সিজারে আমরা সফল হয়েছি।
সান নিউজ/এইচএন