নিজস্ব প্রতিবেদক:
বরগুনা: বরগুনার বামনা থানার এক সহকারী উপ-পরিদর্শককে (এএসআই) শত শত মানুষের থাপ্পর মেরেছিলেন ওই থানারই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)। এরপর ওই এএসআইকেই বামনা থানা থেকে সরিয়ে বরগুনা পুলিশলাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। তবে ওসির বিরুদ্ধে এখনও কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়নি।
ওসির থাপ্পর মারার ঘটনায় জেলা পুলিশের গঠন করা তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে।
রোববার (৯ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে ভুক্তভোগী ওই এএসআইকে পুলিশলাইন্সে সংযুক্ত হওয়ার নির্দেশ দেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এর পর পরই দাপ্তরিক কাজকর্ম ও নিজের ব্যাগ-বাক্স গোছানোর প্রস্তুতি শুরু করেন তিনি।
সোমবার (১০ আগস্ট) ওই এএসআই বলেন, ‘আমি পুলিশলাইন্সে সংযুক্ত হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে কেন বা কি কারণে আমাকে সংযুক্ত করা হয়েছে, তা আমি এখনও অবগত নই।’
বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মফিজুল ইসলাম জানান, ওই এএসআইকে অন্য স্থানে পদায়নে থানা থেকে সরিয়ে পুলিশলাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বরগুনা পুলিশলাইন্সের রেসিডেন্সিয়াল ইনচার্জ (আরআই) মো. মোজাম্মেল হক বলেন, ‘বামনার অনাকাঙ্ক্ষিত সেই ঘটনায় ওই এএসআইকে এখানে সংযুক্ত হতে বলা হয়েছে। তবে তিনি এখনও সংযুক্ত হননি। কেন বা কি কারণে তাকে পুলিশলাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে, তা আমি জানি না।’
পুলিশের গুলিতে নিহত মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের ভিডিওচিত্র নির্মাণ সহকারী বামনার বাসিন্দা সাহেদুল ইসলাম সিফাতের মুক্তির দাবিতে গত শনিবার (৮ আগস্ট) দুপুর ১২টায় মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী। সেই মানববন্ধনে লাঠিচার্জ করেন বামনা থানার ওসি মো. ইলিয়াস আলী তালুকদার। এ সময় তিনি থানার ওই এএসআইকে থাপ্পর মারেন।
সান নিউজ/ আরএইচ/ এআর