জেলা প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় মো. কাজল (৪০) নামের এক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) ভোর ৪টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন : জয়পুরহাটে ৫ জনের যাবজ্জীবন
নিহত মো. কাজল দৌলতপুর উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। তিনি দৌলতখালী গ্রামের মৃত সুন্নত মন্ডলের ছেলে। তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। অন্যদিকে ঘাতক মাবুদ (৩৮) একই গ্রামের নুকা সর্দারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দৌলতখালী গ্রামে দুপক্ষের মধ্যে একটা ঝামেলা চলছিল। দুই পক্ষকে মারামারি করতে নিষেধ করেছিলেন ইউপি সদস্য কাজল। এ ঘটনার জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বুধবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের দৌলতখালী গ্রামের সর্দারপাড়ায় তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন মাবুদ ও তার লোকজন। পরে স্থানীয়রা মো. কাজলকে আহত অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে মারা যান।
আরও পড়ুন : সুনামগঞ্জে গোলাগুলিতে আহত ২০
নিহতের ভাগ্নে শুকুর বলেন, আমার মামাকে মাবুদ ও তার লোকজন বুধবার সন্ধ্যায় কুপিয়ে আহত করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দিবাগত রাত ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
নিহতের স্ত্রী ও মামলার বাদী রুপা খাতুন বলেন, আমার স্বামীকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের ফাঁসি চাই।
দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মহিউল ইসলাম মহি বলেন, দুপক্ষের লোকজনকে মারামারি করতে নিষেধ করায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ইউপি সদস্য কাজলকে হত্যা করা হয়েছে।
দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, ইউপি সদস্য কাজলকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। হত্যা মামলার প্রধান আসামি মাবুদের স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনিও ওই মামলার আসামি।
আরও পড়ুন : উখিয়ায় গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
তিনি আরো বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বর্তমানে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জনান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
সান নিউজ/জেএইচ