জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরের বকসীগঞ্জে আওয়ামী লীগের অফিসের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে সাইনবোর্ড খুলে নিয়ে গেছে প্রতিপক্ষরা।
আরও পড়ুন: সিনেমার উদ্যোগ নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুরে বাট্রাজোর বাজার এলাকায় আওয়ামী লীগ অফিসে এ ঘটনা ঘটে।
পরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান বাবুর নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ অফিস থেকে তৎক্ষানিক হামলা ও ভাংচুরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিল বাট্রাজোর বাজার এলাকা প্রদক্ষিন করে। এই নিয়ে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: কঙ্গোতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ৩৬
আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ জানুয়ারি বাট্রজোর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান বাবু ও সাধারন সম্পাদক আব্দুল মুন্নাফকে পদ থেকে অব্যহতি দেয় উপজেলা আওয়ামী লীগ। সভাপতি পদে আব্দুল মান্নান ও সাধারন সম্পাদক পদে আবুল হাসিম দায়িত্ব পায়। তারপর থেকে আওয়ামী লীগের দুটি অফিস থেকে বিবাদমান দুটি গ্রুপ দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল।
সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান বাবু অভিযোগ করে বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে আমিসহ দলীয় নেতাকর্মীরা অফিসে বসেছিলাম। এসময় আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা চালিয়ে চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে সাইনবোর্ড খুলে নিয়ে যায়। তারা আমাকে সংসদ সদস্য প্রার্থী নুর মোহাম্মদ এর পক্ষে কাজ না করার হুমকিও দেয়।
আরও পড়ুন: ‘আপত্তি’ তুলে নেবে ভারত
বাট্রাজোর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লাবলু মন্ডল বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দলীয় গঠনতন্ত্র বিশ্বাস করি। উপজেলা আওয়ামী লীগ অগঠনতান্ত্রিকভাবে দলের দু:সময়ের ত্যাগী সভাপতি ও সাধারন সম্পাদককে অব্যহতি দিয়ে দুজনকে দায়িত্ব দিয়েছে। আমরা এ সিদ্ধান্ত মানিনা। আওয়ামী লীগের অফিসে হামলাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান বলেন, আমাদের কমিটিই বৈধ কমিটি। একই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দুটি অফিস থাকতে পারেনা। তাই সাইনবোর্ড খুলে আনা হয়েছে। তবে অফিসে চেয়ার টেবিলভাঙচুরের অভিযোগ সঠিক নয়।
আরও পড়ুন: এলএনজি কিনছে সরকার
এ প্রসঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ইসমাইল হোসেন তালুকদার বাবুলের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান।
সান নিউজ/এমআর