এহসানুল হক, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) : ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে সূর্যমুখী ফুলের অপরূপ দৃশ্য মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে। উপজেলার পৌর এলাকার দত্তপাড়া গ্রামের ৩নং ওয়ার্ডে মহাসড়কের পাশে এখন শোভা পাচ্ছে ফুটন্ত ‘সূর্যমুখী’ ফুল। সূর্যমুখীর হাসিতে নজর কেড়েছে ফুল প্রেমিদের। দিগন্তজুড়ে সূর্যমুখী ফুলের হাসি চোখে শান্তির পরশ বুলিয়ে দেয়। এ ফুল দেখতে আর সূর্যমুখী বাগানে নিজেদের ছবি, সেলফি তুলতে নানা বয়সী সৌন্দর্যপিপাসু মানুষ প্রায় প্রতিদিন ভিড় করছেন। এতে বাগানের কিছুটা ক্ষতিও হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিস্ফোরণ বেজমেন্ট থেকে হয়েছে
ফুল ভালোবাসে না এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। আর তা যদি হয় পুকুর পাড়ে সুন্দর হলুদ সূর্যমুখীর বাগান তাহলে তো কথাই নেই। ৯০ শতাংশ জায়গার উপর চাষকৃত মাছের পুকুরের চারপাশ হলদে চাদরে মোড়া। যতদূর চোখ যায় সূর্যের দিকে মুখ করে হাসছে সূর্যমুখী। আর এমন মনোরম দৃশ্য দেখতে দর্শনার্থীরা প্রতিদিনই ভিড় করছেন।
সূর্যমুখী ফুলের রাজ্যে প্রতিনিয়তই এখানে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ফুল প্রেমী। মনোরম সুন্দর পরিবেশ, মহাসড়কের পাশে উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা ও শহরের নিকটবর্তী হওয়ায় এমন দৃশ্য দেখাকে হাতছাড়া করতে চাইছেন না প্রকৃতি প্রেমীরা। একসঙ্গে হাজার হাজার সূর্যমুখী ফুলের হাসির ঝিলিক দেখতে বিভিন্ন স্থান থেকে উৎসুক জনতা এসে ভিড় করছেন। প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন আসছেন ফুল দেখতে।
আরও পড়ুন: যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়ে পরবর্তী কার্যক্রম
দূরদুরান্ত থেকে ছুটে আসা দর্শনার্থীরা জানান, এমন সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ তারা। ফুটে আছে হাজার হাজার হলুদ বর্ণের সূর্যমুখী ফুল।
শাহানা নামের এক দর্শনার্থী বলেন, ‘এতো সুন্দর দৃশ্য আগে কখনো দেখা হয়নি। তাই বন্ধুদের নিয়ে এসেছি’।
আরও পড়ুন: মরদেহের খোঁজে ডগ স্কোয়াড
সূর্যমুখী ফুল বাগান দেখতে আসা দর্শনার্থী মাহবুব হোসেন রাজু বলেন, সূর্যমুখী ফুলের বাগানের কথা শুনেই সবাইকে নিয়ে ছুটে আসলাম। সূর্যমুখীর বাগান প্রথম দেখলাম।
স্থানীয় আশরাফুল আলম হৃদয় জানান, সূর্যমুখী বাগান দেখতে অনেক ছেলে-মেয়ে প্রতিদিন ছুটে আসে। বিকেলে বেশি ভীড় হয়। এতে আমরা এলাকাবাসী আনন্দিত।
আরও পড়ুন: ইসরাইলি অভিযানে নিহত ৬
ফুলচাষী রাজ দুলাল (৩৫) ও আরশাদ আলী (৫০) জানান, চলতি মৌসুমে কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে তিনি সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। সফলতার মুখও দেখছেন। আগামী দিনে এই চাষ আরও বাড়াবেন বলে তিনি জানান।
সূর্যমুখী বাগান সরজমিন পরিদর্শন করেছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নুসরাত জামান। তিনি বলেন, এই এলাকার মাটিতে সূর্যমুখী ফুল বাণিজ্যিকভাবে চাষ হতে পারে। অনেক কৃষক সূর্যমুখী চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এটি বাণিজ্যিক দিকে ভূমিকা রাখবে বলে আমরা আশাবাদী। পরিবেশ ও প্রকৃতির সৌন্দর্য্যও বৃদ্ধি করবে। তিনি আরো বলেন,সূর্যমুখী শুধু দেখতেই রূপময় নয় গুণেও অনন্য। সূর্যমুখীর বীজের তেল স্বাস্থ্যর জন্য ভালো। অন্যান্য তেলবীজে যেসব ক্ষতিকারক উপাদান (বিশেষ করে কোলেস্টেরল) থাকে সূর্যমুখীতে তা নেই। বরং আরও উপকারী উপাদান ও পুষ্টিগুণ বিদ্যমান। সুস্বাস্থ্যের জন্য সূর্যমুখীর তেলের বিকল্প নেই।
সান নিউজ/এমআর