নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর হাতিয়ায় ঘরে একা পেয়ে বাক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী শ্যালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তার জেঠাতো বোনের স্বামী নয়ন চন্দ্র দাসের (৩২) বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে নয়ন পলাতক রয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রতিরক্ষা খাতে যৌথ উৎপাদনের প্রস্তাব
রোববার (৫ মার্চ) সন্ধায় ভিকটিমের মা বাদি হয়ে হাতিয়া থানায় নারীও শিশু নির্যাতন ধমন আইনে এ মামলা দায়ের করেন। এর আগে শুক্রবার দুপুর তিনটার দিকে উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ গামছাখালী গ্রামে ভিকটিমের নিজ ঘরে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে।
আসামি নয়ন চন্দ্র দাস (৩২) উপজেলার ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ গামছাখালী গ্রামের মৃত নকুল চন্দ্র দাসের ছেলে। সে সম্পর্কে ভিকটিমের জেঠাতো বোনের স্বামী। বিয়ের পর থেকে সে শশুর বাড়ী তথা ভিকটিমের বাড়িতে বসবাস করেন।
ভিকটিমের মা জানান, নিজের বাড়িতে পানির কল না থাকায় পাশের বাড়িতে পানি আনতে যান, এ সুযোগে নয়ন ঘরে ডুকে ভিকটিমকে ধর্ষণ করে। কিছুক্ষণ পর তিনি পানি নিয়ে বাড়ির দিকে আসলে কিছু বুঝে উঠার আগেই নয়ন দ্রুত ঘর থেকে বের হয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তখন তিনি ঘরে ডুকে দেখেন তার প্রতিবন্ধী মেয়েটি উলঙ্গ অবস্থায় নিথর হয়ে পড়ে আছে। তখন তিনি চিৎকার দিয়ে জ্ঞান হারিয়ে পেলেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো.আল আমিন বলেন, সকালে মেয়ের ভাই আমার কাছে এসে ঘটনাটি বলেছে। যেহেতু এটি আইনি বিষয় তাই আমি সাথে সাথে থানায় যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি এবং নিজে থানায় গিয়ে ওসি সাহেবে সাথে কথা বলি।
এ বিষয়ে হাতিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন বলেন, রোববার বিকেলে ওই তরুণীকে নিয়ে তার মা থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দেন। তখনই অভিযোগটি নারী নির্যাতন দমন আইনে হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারে জন্য অভিযান চলছে। মেডিকেল রিপোর্টের জন্য সকালে ভিকটিমকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।
সান নিউজ/এনকে