শওকত জামান, জামালপুর : জামালপুরের ইসলামপুরে উত্তর গঙ্গাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন টিনশেড ঘর নিলাম ছাড়াই ভেঙ্গে বাড়িতে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন : আমাদের আরও তদন্ত করতে হবে
রবিবার (৫ মার্চ) সকালে ওই বিদ্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের দক্ষিন পাশে একটি পুরাতন টিনশেড ঘরছিল। যা ৯৫ শতাংশ ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে দাঁড়িয়ে রয়েছে মাত্র কয়েকটি সিমেন্টের খাম। টিনশেড ঘরের স্থাপনাগুলো অর্ধেক সাবেক সভাপতির বাড়িতে আর বাকী অংশ বিদ্যালয়ের পশ্চিম দিকে নতুন ভবনের পাশে রাখা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের ঘরটি ভেঙ্গে নেয়ার যোগসূত্র রয়েছে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহিনুর ইসলামের। এই নিয়ে স্থানীয়রা উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রোজিনা পাভীন ও তার স্বামী ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ইউসুফ আলী সরকারী নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই নিলাম ছাড়াই পুরাতন টিনশেড ঘর ভেঙ্গে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরবর্তিতে বিষয়টি জাপনাজানি হলে স্থাপনার ভাঙ্গা কিছু অংশ বিদ্যালয় অঙিনায় রেখে যান।
আরও পড়ুন : এলডিসি নবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান
গঙ্গাপাড়া গ্রামের ফজলুল হক জানায়, নিয়ম অনুযায়ী নিলামের মাধ্যমে সরকারী কোন স্থাপনা ভাঙতে হয়। নিলাম ছাড়াই কোন ক্ষমতার বলে ওই বিদ্যালয়ের পুরাতন টিনশেড ঘর ভেঙে নিয়ে যায় ইউসুফ আলী।
ওই এলাকার আলম শেখ,মোহাম্মদ আলী ও ডাবলু মিয়াসহ অনেকেই জানান, প্রধান শিক্ষকের সহযোগীতায় সাবেক সভাপতি ও তার ছেলেরা মিলে ৬০ হাত টিনশেড ঘর, ৪টি দরজা, ৬টি জানালা ভেঙে বাড়িতে নিয়ে যায়।
উত্তর গঙ্গাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহিনুর রহমান বলেন, নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষা অফিসে আবেদন দিয়েছি পুরাতন ঘরটি ভাঙার জন্য। কিন্তু সাবেক সভাপতি ইউসুফ আলী কি কারনে ঘরটি ভাঙলেন আমি এ বিষয়ে কিছুই জানিনা।
ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ইউসুছ আলী ঘর ভেঙে নেয়া প্রসঙ্গে বলেন,যেহেতু বিদ্যালয়ের জায়গা পরিবর্তন করে নতুন ভবন তোলা হয়েছে তাই সাবেক জায়গা থেকে পুরাতন ঘরটি ভেঙে স্থাপনাগুলো নতুন জায়গায় রেখে দিয়েছি পুনরায় ঘরটি নির্মানের জন্য।
আরও পড়ুন : সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৫ সিটি নির্বাচন
ইসলামপুর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আব্দুল গফুর খান বলেন, ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি নিয়ম বহির্ভুতভাবে বিদ্যালয়ের পুরাতন টিনশেড ঘরটি ভেঙেছেন। খবর পেয়ে ওই বিদ্যালয় পরিদর্শন করে এসেছি। বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শ করে পরবর্তি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
সান নিউজ/জেএইচ