জেলা প্রতিনিধি : গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার শিমলাপাড়া এলাকার শাল-গজারি বনে প্রতিনিয়ত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। শীতের শেষে রহস্যময় এই আগুন দেখা যায় বনের বিভিন্ন স্থানে। তবে স্থানীয় বনকর্মীরা এ বিষয়ে নির্বিকার রয়েছেন।
আরও পড়ুন : নিউইয়র্কে অগ্নিকাণ্ডে শিশুসহ নিহত ৫
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে আগুন শুক্রবার সারাদিন ধরে জ্বললেও বন বিভাগের কোনো কর্মকর্তাদের সেখানে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে আগুন নেভানোর মতো পর্যাপ্ত জনবল নেই বলে দায় এড়িয়ে যান স্থানীয় এক বিট কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন : পোড়ানো খাবারে ক্যান্সারের ঝুঁকি!
এদিকে গাজীপুরের ইকবাল সিদ্দিকী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ইকবাল সিদ্দিকী জানান, শালবনে আগুন দেওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে বনভূমি দখল করা। প্রতিবছর শীতের শেষে রহস্যময় আগুনে শাল-গজারি গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির চারা ও বনের নানা ধরনের প্রাণীর ক্ষতি হয়। আগুনের কারণে নতুন করে শালগাছ জন্মাতে পারে না।
বন বিভাগ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, শিল্পায়ন, বন উপড়ে বনভূমি দখল করে বসতবাড়ি নির্মাণের কারণে গাজীপুরের বনাঞ্চল হুমকির মধ্যে রয়েছে কয়েক দশক ধরেই। এছাড়া বন বিভাগের নজরদারির অভাবে স্থানীয় বনদস্যুরাও এখন বেপরোয়া। বসন্তের শুরুতে বনে যেন আগুনের যুদ্ধ শুরু হয়। এতে জীববৈচিত্র ও নানা প্রাণী ক্ষতিগ্রস্তসহ বাতাসে কার্বনের পরিমাণও বেড়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন : মালেশিয়ায় বন্যায় বাস্তুচ্যুত ৪০ হাজার
স্থানীয়রা জানান, বনে যখন নতুন শাখা বের হয়, তখনই রাতের আঁধারে আগুন দেয় একটি চক্র। তাদের উদ্দেশ্য, বনের গাছপালা পুড়ে তা দখলে নেওয়া। স্থানীয় ভাষায় একে বন পরিষ্কার করা বলা হয়।
ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী নুরুল করিম জানান, এ ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা প্রয়োজন। জনবল সংকটের কারণে আমাদের নানা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এরপরও আমরা বনে অগ্নিকাণ্ডের সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।
আরও পড়ুন : ফিলিপাইনে বন্দুক হামলায় নিহত ৬
প্রসঙ্গত, প্রায় ৬৫ হাজার একর বনভূমিতে ছোট টিলা মধ্যে শাল-গজারির সবুজ গাছপালার জন্য বিখ্যাত গাজীপুর জেলা।
সান নিউজ/এনজে