শফিক স্বপন মাদারীপুর : মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন : শিবচরে প্রধান শিক্ষকসহ ৪ শিক্ষক বরখাস্ত
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) রাত পোনে ১০টার দিকে সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের বালিয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে ১১ জন মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আহতরা হলো, এনামুল হক হাওলাদার (৪০), তারাই হাওলাদার (২৮), জয়নাল হাওলাদার (২৭), ধলু মাতুব্বর (৫০), মুন্না হাওলাদার(২৫), ইউনুস হাওলাদার (৫০), অলি মাতুব্বর (৪৫), জাহিদুল মোল্লা (৪২), শওকত ফকির (২৭), ইসরাফিল ফকির (৩৫) ও সাখাওয়াত হোসেন (৩৮)। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জয়নাল হাওলাদারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন : ট্রাকচাপায় দুই বাইক আরোহী নিহত
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে, উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তানভীর হাওলাদারের সঙ্গে মাহাবুব মোল্লার বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধের জেরে আগেও দুপক্ষের মধ্যে একাধিকবার হামলা পালটা হামলা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পরে মাহাবুব মোল্লার সমর্থক আরমান মোল্লার সঙ্গে তানভীর হাওলাদারের সমর্থক আরাফাত হাওলাদারের তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বাকবিতন্ডা থেকে হাতাহাতি হয়। একপর্যায় দুপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের প্রায় ১৫ জন আহত হয়।
আরও পড়ুন : বসতঘর থেকে প্রবাসীর স্ত্রীর মুখ বাধা লাশ উদ্ধার
আহতদের মধ্যে রাত ১২টা পর্যন্ত মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ১১ জনকে ভর্তি হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষে আহত সাখাওয়াত হোসেন বলেন, কিশোরদের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাওলাদার আর মোল্লা বংশের লোকজনের মধ্যে মারামারি। মূলত এলাকায় প্রভাব বিস্তার করার জন্য মাহাবুব মোল্লার লোকজন হাওলাদার বংশের লোকজনের উপর হামলা চালায়। আমরা প্রতিরোধ করতে গিয়ে আহত হয়েছি। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
আরও পড়ুন : পার্বত্য আবৃত্তি উৎসব পালিত
এ সম্পর্কে মাহাবুব মোল্লা বলেন, এলাকায় কিশোররা মারামারি করেছে। এখানে আমার কোন হাত নেই। মারামারি সম্পর্কে আমি কিছু জানিও না। এলাকার পরিবেশ শান্ত থাকুক সেটা আমিও চাই। কিন্তু হাওলাদার বংশের লোকজন বিনা উস্কানিতে সুযোগ পেলেই মোল্লাদের ওপর হামলা চালিয়ে উল্টো দোষ চাপিয়ে দেয়। আমরা এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে দুপক্ষের লোকজনই আহত হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সান নিউজ/এইচএন