নিজস্ব প্রতিনিধি:
ভোলা: ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের গুপ্ত মুন্সি গ্রামে মসজিদের মুয়াজ্জিন ও কৃষক মো. মুনসুরকে হাত-পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ঘটনার মূলহোতা রশিদ মল্লিককে আটক করেছে পুলিশ।
জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ওই মুয়াজ্জিন ও কৃষককে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। লোমহর্ষক ঘটনাটির ভিডিও শুক্রবার (৭ আগস্ট) রাতে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে স্থানীয় প্রভাবশালী রশিদ ও আসাদ মল্লিক গংদের নির্যাতন করতে দেখা গেছে। তীব্র নিন্দা ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি ওঠে জেলাজুড়ে।
শনিবার (৮ আগস্ট) ইলিশা ফাঁড়ির ইনচার্জ রতন শীলের নেতৃত্বে এএসআই মাইনুলসহ পুলিশের একটি টিম মূলহোতা রশিদ মল্লিককে আটক করে।
নির্যাতনের শিকার ইলিশা ৮নং ওয়ার্ডের রফিকুল ইসলামের ছেলে মনসুর বলেন, ‘জমি নিয়ে আমার দুলাভাই রশিদ মল্লিকের সঙ্গে বিরোধ হয়। আমার জমির চারা আমি উঠানোর পর গত ২৫ জুলাই রশিদ মল্লিক ও সাইবালী মল্লিকের ছেলে আসাদ মল্লিক আমাকে ঘর থেকে ধরে নিয়ে যান। এরপর প্রকাশ্যে গরুর খুঁটির সঙ্গে হাত-পা বেঁধে ঘণ্টাব্যাপী অমানবিক নির্যাতন করেন। এ সময় আসাদ মল্লিকসহ ৩/৪ জনে মিলে আমাকে গরুর গোবর খাইয়ে দেন। প্রতিপক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় আমি তাদের ভয়ে মামলা করিনি। এখন মামলা করলে আমাকে মেরে ফেলতে পারেন, আমার ভয় হয়।’
ইলিশা ফাঁড়ির ইনচার্জ রতন শীল বলেন, ‘ফেসবুকে বিষয়টি দেখেছি। এই বর্বরোচিত দৃশ্য দেখে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে রশিদ মল্লিককে আটক করেছি। বাকিদের আটকের চেষ্টা ও মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
সান নিউজ/ এআর