গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার একটি ভাঙারির দোকান থেকে ৪২৭টি সরকারি বই জব্দ করেছে স্থানীয় জনতা। এ ঘটনায় জড়িত হরিরামপুর বালিকা বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী উত্তম কুমার ও জুনিয়র শিক্ষক চামেলি বেগমকে অবরুদ্ধ করে রাখেন এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন : বাসের ধাক্কায় শিক্ষকসহ নিহত ২
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি (রোববার) দিনগত রাত ৮টার দিকে উপজেলার হরিরামপুর বাজারের শাহজাহান শেখের ভাঙারির দোকানে বইগুলো পাওয়া যায়। পরে ইউপি সদস্য ফিরোজ কবির ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এলাকাবাসী বলেন, রোববার সন্ধ্যার পর হরিরামপুর বালিকা বিদ্যালয়ের নৈশ্যপ্রহরী উত্তম কুমার ও জুনিয়র শিক্ষক চামেলি বেগম বস্তাভর্তি বিভিন্ন শ্রেণির সরকারি বই নিয়ে আসে শাহজাহান শেখের ভাঙরির দোকানে। বইগুলো ওজন করার সময় স্থানীয় লোকজন টের পেয়ে উত্তেজিত হয়ে উঠে।
এক পর্যায়ে তারা অভিযুক্ত উত্তম কুমার ও চামেলি বেগমকে অবরুদ্ধ করে ইউপি সদস্যকে সংবাদ দেন। ইউপি সদস্য ফিরোজ কবির ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের আটকের বিষয়টি শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
আরও পড়ুন : পুলিশের ওপর চেয়ারম্যানের লোকজনের হামলা
বই বিক্রয়ের কথা স্বীকার করে শিক্ষক চামেলি বেগম বলেন, বিদ্যালয়ের গুদাম পরিষ্কার করে ২০২২ শিক্ষাবর্ষের নতুন বইগুলো বিক্রয়ের জন্য দোকানে নিয়ে আসা হয়। বই বিক্রয়ের টাকায় বিদ্যুৎ বিল ও সাউন্ড বক্স মেরামত করার কথা ছিল।
ইউপি সদস্য ফিরোজ কবির বলেন, বস্তায় করে ষষ্ঠ থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণির ৪২৭টি সরকারি বই জব্দ করা হয়। বইগুলো বিক্রয়ের সময় আটক করেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন : ভুট্টাক্ষেতে অশ্লীল নৃত্য, ৯ তরুণী আটক
বই বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত দুইজনের বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তিনি ব্যবস্থা না নিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক চামেলি বেগমকে বইগুলো স্কুলে ফেরত নিয়ে যেতে বলেন। এতে স্থানীয়দের মধ্যে আরও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোছা. রোকসানা বেগম বলেন, বই বিক্রয়ের ঘটনার তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সান নিউজ/এইচএন