নিজস্ব প্রতিনিধি:
চুয়াডাঙ্গা: সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ বাজারে নৈশকোচ রয়েল এক্সপ্রেস পরিবহনের ধাক্কায় যাত্রীবাহী আলমসাধু, পাখিভ্যান ও মোটরসাইকেলে থাকা ছয়জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন আরও ছয়জন।
নিহতরা হলেন, সদর উপজেলার বসু ভাণ্ডাদহ গ্রামের নিতাই হাওলাদারের ছেলে ষষ্ঠী হালদার (৪০), খাড়াগোদা গ্রামের মাহতাব উদ্দীনের ছেলে মিলন হোসেন (৪০) এবং তিতুদহ গ্রামের পিয়ত আলির ছেলে রাজু আহমেদ, (৩৯) , রহিম মণ্ডলের ছেলে শরিফ হোসেন (৪৫), নুতা মণ্ডলের ছেলে সোহাগ হোসেন (২৫) ও হায়দার আলির ছেলে জুম্মা কালু (৪৫) । নিহতরা আলমসাধু, পাখিভ্যান এবং মোটরসাইকেলের আরোহী ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (৮ আগস্ট) ভোর আনুমানিক সাড়ে ৬টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে মেহেরপুরগামী রয়েল পরিবহনের বাসটি ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা সড়কের সরোজগঞ্জ বাজারে পেছন থেকে প্রথমে যাত্রীবাহী আলমসাধুটিকে ধাক্কা দেয়। এ সময় আলমসাধুতে থাকা যাত্রীরা আছড়ে সড়কের ওপরে পড়েন। এরপর পাখিভ্যানটি ও মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা মারে বাসটি । ভ্যান, আলমসাধু ও মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহীদের সকলেই রক্তাক্ত জখম হন। ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান আরও চারজন। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন ছয়জন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার আবু জিহাদ বলেন, নিহত ও আহতদের বেশিরভাগই দিনমজুর। ঘাতক বাসটি ও তার চালক আশাদুলকে আটক করা হয়েছে।
সান নিউজ/ আরএইচ/ এআর