নিজস্ব প্রতিবেদক:
বরিশাল: রূপাতলী বাস মালিক সমিতির নেতৃত্বে চেকপোস্ট বসিয়ে থ্রি-হুইলার থেকে যাত্রী নামিয়ে বাসে তুলে নেওয়া হচ্ছিল দীর্ঘদিন ধরে। আবার বাস মালিক সমিতির কথামতো রুটে না চললে থ্রি-হুইলার চালকদের মারধর করারও অভিযোগ পুরোনো। থ্রি-হুইলার শ্রমিকরা প্রতিবাদ করায় হঠাৎ বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় বরিশাল রূপাতলী বাস মালিক সমিতি।
অভিযোগ তোলে, বাসশ্রমিকদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এভাবে আড়াই ঘন্টা দক্ষিণাঞ্চলের ১৯ রুটে বাস চলাচল বন্ধ রাখার পর ফের বাস চলাচল শুরু করে বাস মালিক সমিতি।
দীর্ঘদিন ধরে বরিশাল-পটুয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কর্নকাঠি ভোলার রাস্তার মোড়ে রূপাতলী বাস মালিক সমিতির নেতৃত্বে চেকপোস্ট বসানো হয়। চেকপোস্টে বাসমালিক ও শ্রমিক নেতাসহ ওই এলাকার মাস্তান প্রকৃতির যুবকদের রাখা হতো বলে অভিযোগ করেছেন থ্রি-হুইলার চালকরা।
চেকপোস্টে আলফা-মাহিন্দ্রা, হলুদ অটো, সিএনজি এবং রিকশা থেকে যাত্রী নামিয়ে রেখে তা রূপাতলী বাস মালিক সমিতির আওতায় চলাচল করা বাসে তুলে দেওয়া হচ্ছিল।
লকডাউন শিথিলের পর থেকে সেই চেকপোস্ট নির্ধারিত নিয়মেই বসছিল। সদ্য সম্পন্ন ঈদ-উল-আযহায় বাস মালিক সমিতির চেকপোস্ট আরও জোরালো করা হয়। চেকপোস্টে কমিউনিটি পুলিশের সদস্যরাও যাত্রী নামিয়ে রাখতেন।
শুক্রবার (৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মাহিন্দ্রা থেকে যাত্রী নামিয়ে রাখার চেষ্টা করা হলে চেকপোস্টের বাসমালিক-শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে মাহিন্দ্রা শ্রমিকদের বাদানুবাদ হয়। একপর্যায়ে মাহিন্দ্রা শ্রমিকরা চেকপোস্টের চেয়ার ভাংচুর করে বলে দাবি করেছে বাস মালিক সমিতি।
রূপাতলী বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসেন শিপন দাবি করেন, মহাসড়কে অবৈধভাবে থ্রি-হুইলার চলাচল করে আসছে। বাসমালিক-শ্রমিকদের প্রতিনিধিরা সেই থ্রি হুইলার বন্ধের চেষ্টা করে আসছেন। এ সময় মাহেন্দ্র শ্রমিকরা বাস মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধিদের ওপর হামলা চালান। খবর পেয়ে মালিক-শ্রমিকরা তাৎক্ষনিক বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলাকারীদের বিচারের আশ্বাস দেওয়ায় সকাল ১০টার দিকে ফের ওইসব রুটে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সহকারী কমিশনার মো. মাসুদ রানা জানান, অভিযোগের বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে যারা দোষী হবেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সান নিউজ/ এআর