নিজস্ব প্রতিনিধি:
শরীয়তপুরে বিপদসীমার ৪১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পদ্মার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) সকালের দিকে সুরেশ্বর পয়েন্টে জোয়ারের সময় বিপদসীমার ৪১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।
এদিকে, শরীয়তপুরে পদ্মা নদীর প্রবল স্রোতে নদীর তলদেশ থেকে জিওব্যাগ ও সিসি ব্লক সরে যাওয়ায় ভাঙনের সৃষ্টি হয়ে হয়েছে। এতে সুরেশ্বর দরবার শরীফ রক্ষা বাঁধের প্রায় ৫৫ মিটার পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। ফলে নতুন করে বাড়িঘর হারানোর ভয়ে দিন কাটছে স্থানীয় লোকজনের।
তবে ভাঙনরোধে ওই স্থানে সিসি ব্লক ও জিওব্যাগ ডাম্পিং করছে শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ভাঙন স্থানে শুকনো মৌসুমে বাঁধ নির্মাণে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অপর দিকে গত দুই দিন ধরে পদ্মার পানি আবারও বাড়তে শুরু করায় শরীয়তপুরের ৪টি উপজেলার প্রায় ৩ লাখ পানিবন্দী মানুষের মধ্যেও আতঙ্ক বিরাজ করছে। পদ্মা নদীর সুরেশ্বর পয়েন্টে গত ২৪ ঘন্টায় ১৫ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে আজ সকালে জোয়ারের সময় বিপদসীমার ৪১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুরেশ্বর দরবার শরীফ ও আশেপাশে ভাঙন দেখা দিলে পানি উন্নয়ন বোর্ড ২০০৭ ও ২০১২ সালে ৩টি প্যাকেজে ২৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮৫০ মিটার বাঁধ নির্মাণ করেন।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবিব বলেন, পদ্মা নদীর প্রবল স্রোতে নদীর তলদেশ থেকে জিওব্যাগ ও সিসি ব্লক সরে যাওয়ায় সুরেশ্বর দরবার শরীফ বাঁধের ৫৫ মিটার পদ্মাগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনরোধে ইতিমধ্যে প্রায় ৩৬ হাজার জিওব্যাগ ও সাড়ে ৩ হাজার সিসি ব্লক ডাম্পিং করা হয়েছে। ডাম্পিং কাজ চলমান রয়েছে। শুকনো মৌসুমে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।