নিজস্ব প্রতিনিধি:
গোপালগঞ্জ: সুদ ব্যবসায়ী জাহিদ মোল্লার চাপে বিষপানে আত্মহত্যা চেষ্টা করেছেন কোটালীপাড়া উপজেলার রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের আটাশিবাড়ি গ্রামের ব্যবসায়ী পতিত বৈদ্য (৩৫)। বর্তমানে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রয়েছে।
বুধবার (৫ আগস্ট) এ ঘটনা ঘটে। পতিত বৈদ্য গ্রামের বকুল বৈদ্যের ছেলে।
গত মার্চ মাসের শুরু দিকে পতিত বৈদ্য গ্রামের জয়নুদ্দিন মোল্লার ছেলে জাহিদ মোল্লার কাছ থেকে ১ লাখ ১২ হাজার টাকা সুদে আনেন। বিনিময়ে প্রতি সপ্তাহে তাকে নয় হাজার টাকা করে সুদ দিতে হয়। করোনার কারণে পতিত বৈদ্যের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ১১ সপ্তাহ সুদ দেওয়ার পরে আর দিতে পারেননি।
সুদের টাকা না দিতে পারায় মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) জাহিদ মোল্লা স্থানীয় খোকার বাজারের ইসমাইলের দোকানে বসে পতিতকে গালমন্দ করেন। পরদিন পতিত বৈদ্য বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
অসুস্থ্য পতিত বৈদ্য হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এক লাখ ১২ হাজার টাকা সুদে নিয়ে আমি জাহিদ মোল্লাকে ১১ সপ্তাহে ৯৯ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছি। তিনি এখন প্রতি সপ্তাহে নয় হাজার টাকা হিসেবে আমার কাছে টাকা চাচ্ছেন। এতো টাকা দেওয়ার মতো আমার ক্ষমতা নেই। এই সুদের টাকার চাপে ও পথে-ঘাটে অপমানিত হওয়ার ভয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলাম।’
জাহিদ মোল্লা পতিত বৈদ্যকে গালমন্দ করার কথা অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘পতিত বৈদ্য আমার বন্ধু। তিনি আমার কাছ থেকে এক লাখ ১২ হাজার টাকা ধার নিয়েছেন। আমি সুদের ব্যবসা করি না। আমি এখন পাওনা টাকা চাইতে গেলে বিভিন্ন টালবাহনা করছেন পতিত।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুশান্ত বৈদ্য বলেন, পতিত বৈদ্য এখন শারিরীকভাবে সুস্থ। তবে বিষ খাওয়া রোগীর ক্ষেত্রে ৭২ ঘন্টা অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত ঝুঁকিমুক্ত বলা যাবে না।
কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ লুৎফর রহমান বলেন, পতিত বৈদ্যের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সান নিউজ/ এআর