সান নিউজ ডেস্ক : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাইমা আরাবীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন করেছে তার সহপাঠীরা।
আরও পড়ুন: তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্প ২৪ ঘণ্টায় ৪৩৬৫ মরদেহ উদ্ধার
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে তারা।
এ মানববন্ধনে অংশ নেয় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এবং মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্ম পরিষদের নেতাকর্মীরা।
এ সময় সাইমার ভাই মাসুম বলেন, ‘আমার বোন কোমল মনের মানুষ ছিল। সে এভাবে আত্মহত্যা করতে পারে না। একটা পরিবারকে লালসার কবলে ফেলে ক্ষতির দিকে ধাবিত করা হয়েছে। সে বাইরে কারো সঙ্গে মিশত না। খুব চাপা স্বভাবের ছিল। তাকে মানসিক চাপ দিয়ে আত্মহত্যার দিকে ধাবিত করেছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।’
মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্ম পরিষদের সভাপতি জান্নাত জানা বলেন, ‘আমাদের সাইমা আপুকে আত্মহত্যা দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। থানায় মামলা করতে গেলেও সেখানে মামলা নেওয়া হয়নি। তার পরিবারকে বিভিন্ন চাপ দেওয়া হয়েছে। আজ আপুর সঙ্গে যা হয়েছে তা আমাদের সঙ্গেও হতে পারে। তাই আমরা এর সুষ্ঠু বিচারের দাবি করছি।’
এছাড়া মহিলা পরিষদের নেতাকর্মীরা বলেন, ‘কতটা কষ্ট পেলে একজন মানুষ আত্মহত্যা করতে পারে। বাংলাদেশের নারীরা কতটা কষ্টে আছে তার একটি উদাহরণ হচ্ছে সাইমা। সে একা বোধ করেছে। তার পাশে কাউকে পায়নি। আত্মাহত্যায় যে প্ররোচনা করেছে তার মতো অপরাধী আর কেউ হতে পারে না। আমরা এর বিচার চাই।’
তারা আরও বলেন, ‘আমরা যারা আত্মহত্যা করে তাদেরকে দোষ দেই। কিন্তু তার কারন জানতে চাই না। আজ আমার পরিবারে ঘটেছে কাল আপনার পরিবারেও হতে পারে। এমন হলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেধাবী শিক্ষার্থীরা ঝড়ে পরবে। আমারা নারিদের নিয়ে কাজ করি। একটা ঘটনা ঘটে গেলে পরে আর কিছু করার থাকে না।’
আরও পড়ুন: সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি মনোনয়ন
প্রসঙ্গত, সাইমা চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৫ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ছিলেন। গত ১৯ জানুয়ারি অতিরিক্ত পরিমাণে এসডোকল-৫ ওষুধ খেয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। পরিবারের অভিযোগ তাকে আত্হমত্যার জন্য প্ররোচিত করা হয়েছে।
সান নিউজ/এনজে/এসআই