মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ : মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার ধীপুর ইউনিয়নের রাউৎভোগ গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ তাকওয়া আক্তার ফাতেমা (০২) শিশুর ৭ দিনেও সন্ধান মেলেনি।
আরও পড়ুন : মুন্সীগঞ্জে উৎপাদন হচ্ছে উন্নতমানের মূলা বীজ
তবে এ ঘটনায় ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবিকারী এক নারীকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছে টঙ্গীবাড়ি থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত নারী আলিনুর স্বপ্না (৩৫) একই গ্রামের নিহত সাইদ মোল্লার মেয়ে।
এ ব্যাপারে নিখোঁজ শিশুর বড় চাচা হাবিবুর রহমান বলেন, আমার ভাতিজি ৭দিন ধরে নিখোঁজ । এখনও তার সন্ধান পাচ্ছিনা। গত বুধ (১ ফেব্রুয়ারি), বৃহস্পতি (২ ফেব্রুয়ারি) ও শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) তিন দিনে, ৩ বার আমার ভাই নিখোঁজের বাবা নূরে আলম এর মোবাইলে ফোন করে ২ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে এক নারী। পরে আমরা বিষয়টি পুলিশকে জানাই। পুলিশ আমাদের থেকে মুক্তিপন দাবিকারীর মোবাইল নাম্বারটি নেয়।
তিনি আরও বলেন, ওদের মুক্তিপণ দেওয়া হবে আশ্বাস দিতে বলে আর মুক্তিপণ দেওয়ার জন্য ওদের বিকাশ নাম্বার চাইতে বলে। আমরা মুক্তিপণ দাবিকারীর বিকাশ নাম্বার চাই।
আরও পড়ুন : ভিডিওর ১২ জন জঙ্গি বরিশালের
মুক্তিপন দাবিকারীর আজ রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাশ নাম্বার দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশ শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে টঙ্গীবাড়ি বাজার হতে মুক্তিপন দাবিকারী নারীকে গ্রেফতার করে।
এ ব্যাপারে টঙ্গীবাড়ি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লোকমান হোসেন বলেন, আসামিকে রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেফতারকৃত আলিনুর স্বপ্না বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত। তার একাধিক বিয়ে হয়েছে। তবে বর্তমানে কোন স্বামীই নেই। সে পিত্রালয়ে থাকে।
আরও পড়ুন : সীমান্ত সড়ক নির্মাণে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরন
এ বিষয়ে টঙ্গীবাড়ি থানা পুলিশের ওসি মো. রাজিব খান বলেন, শিশুটিকে এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে এ ঘটনায় মুক্তিপন দাবিকারী আলিনুর স্বপ্নাকে (৩৫) গ্রেফতার করা হয়েছে। সে একই গ্রামের সাইদ মোল্লা মেয়ে।
গ্রেফতারকৃতকে জিজ্ঞাসবাদ চলছে। তদন্তের স্বার্থে এখন আর বিস্তারিত বলা যাচ্ছেনা। গ্রেফতারকৃত আসামিকে আজ মুন্সীগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ জানুয়ারি (শনিবার) দুপুরে উপজেলার রাউৎভোগ গ্রামের নূরে আলম মোড়লের মেয়ে তাকওয়া আক্তার ফাতেমা তার মা পিয়ারা বেগমের সঙ্গে রান্না ঘরের পাশে উঠানে খেলা করছিল। এ সময় রান্না ঘর থেকে রান্নাকরা খাবার ঘরে রাখতে আসেন পিয়ারা। খাবার রেখে গিয়ে দেখেন ফাতেমা সেখানে নেই।
আরও পড়ুন : আওয়ামীলীগ ক্রীড়াকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে
পরে আশেপাশে ও আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খুঁজেও সন্ধান না পেয়ে ফকির দিয়ে কয়েকদফা বাড়িতে বৈঠক বসিয়ে নিখোঁজের সন্ধান না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন নিখোঁজের পিতা নুরে আলম মোড়ল।
সান নিউজ/এইচএন