নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনা: স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্যে গৃহবধূ তমা (২৭) এবং বাবার ওপর অভিমানে কলেজছাত্রী পলি সরদার (১৮) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তমা একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ও পলি ডুমুরিয়া উপজেলার শোভনা ইউনিয়নের জিয়ালতলা গ্রামের দীপক সরদারের মেয়ে ।
বুধবার (৫ আগস্ট) দুপুর ৩টার দিকে ব্যাংক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম তার স্ত্রী তমাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মহানগরীর বয়রা ক্রসরোডের আল ফারুক মোড় এলাকার একটি ছয়তলা ভবনে স্বামী ও মেয়েকে নিয়ে থাকতেন তমা।
রফিকুল ইসলাম বলেন, সকালে তাদের মধ্যে সামান্য কথা কাটাকাটি হয় । এরপর তিনি ব্যাংকে চলে যান। পরে দুপুরে প্রতিবেশিদের দেওয়া খবর পেয়ে স্ত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মমতাজুল হক জানান, ব্যাংক কর্মকর্তা সকালে অফিসে চলে গেলে বাসায় তার স্ত্রী আর প্রথম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে ছিলেন। দুপুর ২টার দিকে মেয়েটি দেখে, তার মা পাশের রুমে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছেন। ছোট মেয়েটি তখন প্রতিবেশীদের জানালে তারা তমার স্বামীকে ফোন করে জানান।
এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলার প্রস্তুতি চলছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা রয়েছে বলেও জানান ওসি।
অন্যদিকে ডুমুরিয়া থানা পুলিশ জিয়ালতলা গ্রামের পলি সরদারের মরদেহ বুধবার সকালে তার নিজ ঘর থেকে উদ্ধার করে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) রাতে পলি পোশাক কিনতে টাকা চেয়ে বাবার সঙ্গে ঝগড়া করেন। পরে রাত সোয়া ১১টার দিকে নিজের ঘরে ঘুমাতে যান। বুধবার সকালে তার উঠতে দেরি দেখে ডাকাডাকির এক পর্যায়ে দরজা খুলে বাবা-মা দেখেন, তিনি ঘরের আড়ায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আছেন।
ডুমুরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইলিয়াস হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ পলির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। সুরতহাল রির্পোট শেষে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।
সান নিউজ/ এআর