নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনা: শিক্ষা বিস্তার, সমবায় আন্দোলন, শিল্প বিস্তারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় যিনি স্যার পিসি রায় নামে খ্যাত। অধুনাবিলুপ্ত খুলনা টেক্টটাইল মিলটি তার উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়। মহান এই কর্মবীর মানুষটির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে তার নামে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ, পাঠ্যপুস্তকে বিজ্ঞানীর জীবনী, সম্মাননা প্রদান, লাইব্রেরি স্থাপনসহ বছরে দুদিনব্যাপী বিজ্ঞান মেলা করার লক্ষ্যে খুলনায় গঠন করা হলো খুলনায় আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় ট্রাস্ট।
বাগেরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা কামরুজ্জামান টুকুকে আহবায়ক ও ডা. শেখ বাহারুল আলমকে সদস্য সচিব করে ট্রাস্টের কমিটি গঠিত হয়েছে। সদস্যরা হলেন অ্যডভোকেট আ ফ ম মহসীন, সাংবাদিক গৌরাঙ্গ নন্দী, শামীমা সুলতানা শীলু, গোপী কৃষাণ মুন্ধড়া ও সাংবাদিক মহেন্দ্রনাথ সেন।
বুধবার (৫ আগস্ট) বেলা ১১ টায় বিএমএ মিলনায়তনে গুণিজন স্মৃতি পরিষদের মতবিনিময় সভায় এ কমিটির ঘোষণা দেওয়া হয়। আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের নামে খুলনা কুষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ ও খুলনা কালেকটরেট চত্বরে জেলার মনিষীদের ভাস্কর্য স্থাপনের দাবিতে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাগেরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা কামরুজ্জামান টুকু। সভা পরিচালনা করেন বিএমএ খুলনা শাখার সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম। বক্তব্য দেন খুলনা নাগরিক সমাজের আহবায়ক অ্যডভোকেট আ ফ ম মহসীন, খুলনা উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান শরীফ শফিকুল হামিদ চন্দন, এস এম আউয়াল রাজ, খুলনা সিটি ল’ কলেজের অধ্যক্ষ এম এ আউয়াল, খুলনা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক গোপী কৃষাণ মুন্ধড়া, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. শেখ সাদী ভূঁঞা, সাংবাদিক গৌরাঙ্গ নন্দী, সাংস্কৃতিক কর্মী হুমায়ুন কবির ববি, নারীনেত্রী শামীমা সুলতানা শীলু, ওয়ার্কার্স পার্টির শেখ মফিদুল ইসলাম, এস এম ফারুখ উল ইসলাম, নাগরিক নেতা শাহিন জামাল পণ, পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুণ্ডু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ মো. আবু হানিফ, এস এম সোহরাব হোসেন, নিরাপদ সড়ক চাই এর আহবায়ক এস এম ইকবাল হোসেন বিপ্লব, ইসরাত আরা হীরা, রতন কুমার নাথ, জেসমিন আরা, কৃষ্ণা দাশ, বিশ্বজিৎ দে মিঠু, পাপ্পু সরকার, গুণিজন স্মৃতি পরিষদের সমন্বয়কারী একুশে টেলিভিশনের সাংবাদিক মহেন্দ্রনাথ সেন প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, পশ্চাদপদ শিক্ষা ও অর্থনীতির দেশে জন্মগ্রহণকারী এই কৃতী মানুষটি মৌলিক জ্ঞানশাস্ত্রে যেমন অবদান রেখেছেন, তেমনি শিক্ষকতা, সমাজসেবা, সমবায় আন্দোলন, উদ্যোক্তা হিসেবে ও ভূমিকা রেখেছেন। ওষুধশিল্প স্থাপনে তার কৃতিত্ব অতুলনীয়। বেঙ্গল ফার্মাসিউটিক্যালস তার অনন্য সৃষ্টি। একেবারে সাধারণ জীবনাপনকারী এই মানুষটি সারাজীবন সমাজের হিতার্থে কাজ করেছেন। নিজে যা আয় করেছেন, তার চেয়েও বেশি দান করেছেন। মানবপ্রেমী এই মানুষটির শেষ জীবন কেটেছে কলকাতার বিজ্ঞান কলেজের একটি ছোট্ট কক্ষে। মারা গিয়েছেন ছাত্রের কোলে মাথা রেখে।
সান নিউজ/ এআর