মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার বালিগাঁও বাজারে ডাকাতির ঘটনা উদঘাটন করেছে জেলা পুলিশ। ঘটনায় জড়িত থাকায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ১৫ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২০ জানুয়ারি থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত মুন্সীগঞ্জেরসহ বিভিন্ন জেলার অভিযান চালিয়ে এ সমস্ত ডাকাতদের গ্রেফতার করা হয়। ইতোমধ্যে গ্রেফতারকৃত ডাকাত দলের সদস্যদের স্বীকারোক্তিমূ্লক তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাতির সময় ব্যবহৃত সরঞ্জাম ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানো উচিত
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান আল-মামুন বিপিএম, পিপিএম।
তিনি জানান, চাঞ্চল্যকর ডাকাতি মামলায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনাস্থলের ফুটেজ, জিপিএস ট্রাকিংসহ পার্শ্ববর্তী জেলার ডাকাতি মামলা পর্যবেক্ষণ করে ২২ জন জড়িত থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর মধ্যে অভিযান এ পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে গ্রেফতাকৃতদের তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাতি হওয়া মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে বোমা হামলা, নিহত বেড়ে ৯০
ইতোমধ্যে লুণ্ঠিত নগদ ১০ হাজার টাকা এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ১টি তালা কাটার যন্ত্র, ২টি শাবল, ১টি লোহার রড ও ১টি স্ক্রু ড্রাইভার উদ্ধার করা হয়েছে। ডাকাতি সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে ১০ জন আদালতে দোষ স্বীকারোমুক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছি। গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের মধ্যে ৮ জন মাদারীপুর জেলার, ৬ জন শরীয়তপুর জেলার এবং একজন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাসিন্দা।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আরও জানান, ডাকাতির সাথে জড়িত মো. শফিকুল ইসলাম, (২৭), মো. ফরিদ হাওলাদার (৪৫), মো. আনোয়ার হোসেন (৪২), আব্দুর সোবহান ঢালী (৩২), কামাল খান (৪১), মো. দেলোয়ার খলিফা (৩৭), মো. ফারুক খা (২১), মো. কালু হাওলাদার (৩৮), হিরন তালুকদার (৪৩) এবং মিলন খলিফা (৩১) আদালতে দোষ স্বীকারোমুক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামেও মেট্রোরেল আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে
এছাড়াও শাহিন শেখ (২২ ) সিরাজুল মাদবর (২৮) মো. ইমরান মাদবর( ২৬) সবুজ খা (৩০ ) এবং মোহাম্মদ শাহিন শিকদারকে (৩২) গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুমন দেব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
(ক্রাইম ও অবস্) মো. আদিবুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ইয়াসিনা ফেরদৌস, সদর সার্কেল থান্দার খায়রুল হাসান, জেলা গোয়েন্দা ডিবি পুলিশের (ওসি) আবুল কালাম আজাদ, টঙ্গীবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজিব খান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: আমবাগান থেকে ১৮ ককটেল উদ্ধার
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর রাতে জেলার টঙ্গীবাড়ি উপজেলার বালিগাঁও বাজারে ডাকাতের ঘটনা ঘটে। এ সময় ১১ টি স্বর্ণের দোকানসহ একটি মুদি দোকান ও ১ ফার্মেসিতে ডাকাতি করে। ঐ দিন ৩৭ ভরি সোনা, ২৭০ ভোড়ি রূপা সহ ৪০ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে ডাকাতরা। এ ঘটনায় ৩০ শে ডিসেম্বর গোকুল দাস নামের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী টঙ্গীবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
সান নিউজ/এমআর