ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আব্দুল লতিফ লিটুর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ভূমি দখল, মামলা দিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি তথা অপসাংবাদিকতার কারণে ২৩ জন সাংবাদিক গণপদত্যাগ করেছেন।
আরও পড়ুন : ত্রিশালে পরীক্ষার্থীদের আয়োজনে কম্বল বিতরণ
শনিবার (২১ জানুয়ারি) সকালে সাবেক সভাপতি সহ উল্লেখিত সাংবাদিকরা একই সঙ্গে পদত্যাগ পত্র জমা দেন এবং নিজেদের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়।
গত বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক কালেক্টরেট চত্বরে সদর উপজেলার শিবগঞ্জ এলাকার শতাধিক নারী পুরুষ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
মানববন্ধনে এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, সদর উপজেলার পূর্ব পারপুগী গ্রামের মরহুম সিরাজুল ইসলামের ছেলে আব্দুল লতিফ লিটু নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি করে আসছে। তার অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন : ইজিবাইক চালকের মরদেহ উদ্ধার
তিনি ভূমি দখল, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে ।তিনি অপসাংবাদিকতার আশ্রয় নিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন।
সম্প্রতি রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। সভাপতি হয়ে তার দৌরাত্ম বেড়ে যায়। তার বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁও সদর থানা ও আদালতে প্রায় ৩৫টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার প্রতিনিধি হওয়ায় সামান্য বিষয়ে পুলিশ প্রশাসন সহ বিভিন্ন জনের নামে রিপোর্ট করে ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করেন।
আরও পড়ুন : গাইবান্ধায় সেচ কার্যক্রম বন্ধ, নেপথ্যে পূর্ব শত্রুতা
গণপদত্যাগ পত্রে উল্লেখ করা হয়, এলাকাবাসীর মানববন্ধনে উত্থাপিত অভিযোগের সত্যতা থাকায় এবং তার ব্যক্তিগত ঘটনায় সংগঠনকে জড়িয়ে বিভিন্ন সময়ে কর্মসূচি গ্রহন করায় তারা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় শিবগঞ্জ এলাকায় এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়ে লান্চিত হন সাংবাদিক আব্দুল লতিফ লিটু।
আরও পড়ুন : প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ
এ ব্যাপারে সাংবাদিক আব্দুল লতিফ লিটু জানান,সম্প্রতি রিপোর্টাস ইউনিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আমি সদস্যদের ব্যাপক ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হই। পরাজিতরা আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্শ্বান্বিত হয়ে কৌশলে এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে।
সান নিউজ/এইচএন