টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি: ১০ মাস পর কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে পর্যটকবাহী দুই জাহাজ। আজ শুক্রবার সকাল পৌঁনে ১০টার দিকে ৬১০ জন যাত্রী নিয়ে এমভি পারিজাত ও এমভি রাজহংস নামে জাহাজ দুটি যাত্রা শুরু করে।
আরও পড়ুন: ইজতেমায় লাখো মুসল্লির জুমা আদায়
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় জাহাজ চলাচলের সিদ্ধান্ত দেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান।
জেলা প্রশাসক জানান, বুধবার নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর/দপ্তরের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত সভায় টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচলের বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হয়, তারই আলোকে শুক্রবার সকাল থেকে দুটি জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয় এবং শনিবার থেকে লাইসেন্স ও ফিটনেস আছে- এমন সকল জাহাজ চলাচল করবে।
আরও পড়ুন: আমাদের ভিত্তি জনগণ
জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, জাহাজ কর্তৃপক্ষকে কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে- ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া যাবে না। জাহাজে পর্যাপ্ত ঝুড়ি রাখতে হবে, যাতে চিপস বা কোনো পলিথিন ও প্লাস্টিক সাগরে না ফেলে এবং প্রতিটি জাহাজে এ বিষয়ে সতর্কতামূলক প্ল্যাকার্ড দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপের প্লাস্টিক বর্জ্য জাহাজে করে এপারে নিয়ে আসতে জাহাজ কর্তৃপক্ষকে সাহায্য করতে হবে। পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য যাতে ধ্বংস না হয় এ বিষয়ে সচেতন করতে জাহাজে প্রচারণা চালাতে হবে। এরকম আরও কয়েকটি অবশ্যই পালনীয় শর্ত সাপেক্ষে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যার ব্যত্যয় ঘটলে অনুমতি বাতিল করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
আরও পড়ুন: ট্রাকের পেছনে সিএনজির ধাক্কা, নিহত ২
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, আজকে পৌনে ১০টার দিকে পর্যটকবাহী দুটি জাহাজ টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে।
কক্সবাজার ট্যুরস অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন (টুয়াক) সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মনিবুর রহমান টিটু বলেন, নাফ নদের নাব্যতা-সংকট ও নদীতে একাধিক বালুচর জেগে ওঠার অজুহাতে এবারের পর্যটন মৌসুমের শুরু থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল। প্রশাসনের দপ্তরে নানাভাবে যোগাযোগ করেও জাহাজ চলাচলের অনুমতি মিলছিল না। অবশেষ আবার জাহাজ চলাচল শুরু হওয়ায় দ্বীপে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোর তাণ্ডবে ৬ জনের মৃত্যু
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, প্রবাল দ্বীপের ৯০ শতাংশ মানুষ পর্যটন মৌসুমের ছয় মাসের ব্যবসার ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু মৌসুমের তিন মাসেও টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে জাহাজ না আসায় দ্বীপে পর্যাপ্ত পর্যটক আসেনি। ফলে এখানকার জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছিল।
সান নিউজ/এমআর