বদরুল ইসলাম বিপ্লব, ঠাকুরগাঁও: পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও লাইসেন্স বিহীন ইট ভাটা পরিচালনা করায় ঠাকুরগাঁওয়ে কেএসবি ব্রিকস ইট ভাটার মালিককে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আরও পড়ুন : ৭.৮ ডিগ্রিতে তাপমাত্রা, বিপর্যস্ত জনজীবন
শনিবার (০৭ জানুয়ারি) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোলানী আরাজি ঝাড়গাঁও গ্রামের কেএসবি ব্রিকস ফিল্ড ইটভাটার মালিককে ওই অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার রহমান।
জানা যায়, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও লাইসেন্স বিহীন ইট ভাটা পরিচালনা করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত ভাটা এক্সভেটর দিয়ে ভাঙতে গেলে আটকে দেয় শ্রমিকরা। পরে ইট ভাটার মালিক আব্দুস সোবাহান ইট ভাটা সরিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকার করলে জরিমানার টাকা নিয়ে ফিরে আসে ভ্রাম্যমান আদালত ও পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজন।
সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার রহমান বলেন, হাইকোর্টের নিদের্শনা অনুযায়ী ইট ভাটা গুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও লাইসেন্স বিহীন ভাটায় ইট প্রস্তুত করায় ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সাথে ভাটা মালিক ভাটা বন্ধের অঙ্গীকার করেন।
পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইউসুফ আলী বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১ কিলোমিটারের মধ্যে ভাটা স্থাপনের নিয়ম না থাকলেও কেএসবি ইট ভাটা মালিক সেসব নিয়মের তোয়াক্কা করছিলেন না। ইট প্রস্তুত করণের জন্য যে মাটি ব্যবহার করা হয়েছে সেটার জন্য জেলা প্রশাসনের অনুমোদন নেই। ইট ভাটায় ৫০ ভাগ হলফ বিস্ট তৈরি করার কথা থাকলেও এখানে কোন হলফ বিস্ট দেখা যায়নি। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইন ২০১৩ সংশোধিত ২০১৯ অনুযায়ী এসব ভাটাতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র দেওয়ার সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন : জামিন পেলেন আমাতুল্লাহ বুশরা
এর আগে গত শুক্রবার ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ এর বিভিন্ন বিধি নিষেধ অমান্য করে ভাটা চালু করায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় একটি ইটভাটায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার ১ টি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট ৪ লাখ টাকা ও রাণীশংকৈল উপজেলার ৩ টি অবৈধ ইটভাটায় ৩ লাখ টাকা অর্থাৎ সর্বমোট ৭ লাখ টাকা জরিমানা করে।
উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বর মাসে ঠাকুরগাঁও, বগুড়া, টাঙ্গাইল, লালমনিরহাট জেলায় অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। তারপরও লাইসেন্স ছাড়াই বেশ কিছু ভাটা চালু করে প্রভাবশালী ভাটা মালিকরা।
এ ঘটনায় ইট ভাটা মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ আগরওয়ালা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ৬৫ জন ভাটা মালিক মৌখিক অনুমতি নিয়ে ইট প্রস্তুত শুরু করেছে। আর বাকি ভাটা মালিকগণ কি পাপ করেছে?
এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলায় অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনার কোন সুযোগ নেই। অবৈধ ইটভাটাসমূহে অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।
সান নিউজ/এনকে